গত এপ্রিলে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেন স্মিথ। ভারতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় মাঝপথেই টুর্নামেন্ট থেমে যাওয়ার আগে ব্যাট হাতে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। পরে সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, কনুইয়ের চোট নিয়েই আইপিএলে খেলেছেন তিনি, যা চোটকে আরো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তিন সংস্করণেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্মিথ। তবে টেস্ট ক্রিকেটে তার ব্যাটটা বরাবরই চওড়া। সবশেষ অ্যাশেজেও দারুণ সফল। ৪ টেস্টে করেন ৭৭৪ রান।
দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে দ্রুত ২২ গজে দেখতে চাইলেও তাই পেইনের নজর স্মিথের পুরোপুরি সেরে ওঠার দিকেই। তার আশা, স্মিথ তখনই মাঠে ফিরবেন যখন তিনি শতভাগ সুস্থ বোধ করবেন।
“আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো সে খেলার জন্য শতভাগ প্রস্তুত কিনা, সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হোক আর অ্যাশেজই হোক। স্বার্থপরভাবে চিন্তা করলে, আমি তাকে ১০০ ভাগ ফিট দেখতে চাই আর সেটার জন্য যদি সে টুর্নামেন্টে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) না খেলতে পারে, তাহলে সে খেলবে না।”
“কিন্তু স্মিথ পেশাদার, সে জানে শারীরিকভাবে সে কেমন বোধ করছে এবং সে যদি সুস্থ বোধ না করে তাহলে সে সঠিক সিদ্ধান্তই নিবে। এখন এটা গুরুত্বপূর্ণ যে সেরে উঠতে তার কত সময় লাগে, সেটা শুধু অ্যাশেজের জন্য নয়, আগামী পাঁচ-ছয় বছরের ক্যারিয়ার লম্বা করার জন্যও।”
সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফর থেকে আগেই নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্মিথ। ২২ গজের বাইরে তার সময়টা লম্বা হতে পারে আরও।
২০১০ সালে অভিষেকের পর থেকে ৭৭ টেস্টে সাত হাজার ৫৪০ রান করেছেন স্মিথ। চোটে আক্রান্ত হওয়ার আগে তার সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচও টেস্টেই, বছরে শুরুতে ব্রিজবেনে ভারতের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে দুই ইনিংসে করেছিলেন ৩৬ ও ৫৫ রান।