হেরাথের সঙ্গে ‘প্রয়োজনে’ আছেন রাজ্জাকও

জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের সবশেষ ম্যাচে দলের জয়ে ভালো ভূমিকা রেখেছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আছেন এবারও, তবে ভিন্ন পরিচয়ে। স্পিন বোলিংয়ে বাংলাদেশের একসময়কার ভরসা এখন জাতীয় নির্বাচক। স্পিনার সত্ত্বা যদিও খুব পুরনো হয়নি এখনও। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তো আছেই। জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের প্রথম দিনের অনুশীলনেই রাজ্জাক জানিয়ে রাখলেন, প্রয়োজন পড়লে স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে দলের স্পিনারদের সহায়তা করবেন তিনিও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2021, 04:07 PM
Updated : 2 July 2021, 11:29 AM

২০১৩ সালের পর এই প্রথম জিম্বাবুয়ে সফরে গেছে বাংলাদেশ। হারারেতে প্রথম দিনের অনুশীলন ছিল বৃহস্পতিবার। এ দিন থেকেই স্পিন বোলিং পরামর্শক হিসেবে শুরু হলো হেরাথের দায়িত্ব। রাজ্জাকের জন্যও দিনটি ছিল নতুন এক শুরুর। নির্বাচক হওয়ার পর প্রথমবার সফরে গেলেন দলের সঙ্গে।

খেলোয়াড়ী জীবনে জাতীয় দলের হয়ে চারবার তিনি গেছেন জিম্বাবুয়ে সফরে। অনুশীলন ও ম্যাচে কেটেছে ব্যস্ত সময়। এবার তার কাজ শুধু দেখা ও বোঝা। বিসিবির ভিডিও বার্তায় নিজের নতুন অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন সাবেক এই স্পিনার।

“ আমার জন্য অবশ্যই আলাদা একটা অভিজ্ঞতা। জিম্বাবুয়েতে এই আবহ আমার ভালো লাগে। ক্রিকেটের জন্য এখানকার আবহাওয়া খুব ভালো। উইকেট একটু কঠিন থাকে। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য। তাছাড়া বাকি সবকিছুই ক্রিকেটের জন্য ভালো।”

“এবার ক্রিকেটার হিসেবে নয়, অফিসিয়াল হিসেবে এসে একটু ভিন্ন মনে হচ্ছে। যদিও প্রথম দিন আমার। এর আগে যতবারই এসেছি, অনুশীলন করেছি, কাজ করে চলে গেছি। এবার কাজ হলো দেখা। একটু ভিন্নতা তো আছেই।”

জিম্বাবুয়ের উইকেট স্পিনারদের জন্য কতটা কঠিন, রাজ্জাক বলছিলেন হয়তো নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই। এমনিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার নিজের রেকর্ড দুর্দান্ত, ৩৬ ম্যাচে শিকার ৬৩টি। কিন্তু জিম্বাবুয়েতে ১৯ ম্যাচে উইকেট কেবল ১৭টি।

স্পিন পরামর্শক হিসেবে প্রথম দিনের অনুশীলনে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে রঙ্গনা হেরাথ। ছবি: বিসিবি।

তবে তিনি নিজে যা বলছেন, তা দলের স্পিনারদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে চান না। তার চাওয়া, স্পিনাররা যেন নেতিবাচক মানসিকতায় মাঠে না নামেন।

“ এখানে দাপট দেখায় পেসাররা। আমাদের দেশে বা উপমহাদেশে খেলা হলে যেমন স্পিনারদের দাপট দেখানোর সুযোগ থাকে, এখানে পেসাররা। তবে এখানেও স্পিনারদের ভালো ভূমিকা রাখতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে থাকে রান আটকানো, কিছু ক্ষেত্রে ব্রেক থ্রু এনে দেওয়া, যখন পেসাররা ভুগতে থাকে।”

“এখানে যে স্পিন হবে না, এটা ধরে নেওয়া মনে হয় না ভালো কিছু হবে। এটা নিয়ে বেশি কথা না বলাই ভালো। ক্রিকেটাররা খেলবে। আমি চাই না ওদের মনের ভেতর এটা ঢুকে যাক যে এটা স্পিন কন্ডিশন নয়। আসলে যে কোনো ক্রিকেটারকেই প্রতিটি কন্ডিশনে খেলতে হবে, মানিয়ে নিতে হবে। যে যত মানিয়ে নিতে পারবে, সে তত ভালো ক্রিকেটার।”

চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে স্পিনারদের পথ দেখানোর জন্য হেরাথ যেমন আছেন, তেমনি রাজ্জাক জানান দিলেন নিজের উপস্থিতি।

“ হেরাথ এসেছে, সে অনেক অভিজ্ঞ, একই সঙ্গে অনেক বড় তারকা ছিল। এখন কোচিংয়ে এসেছে। আমি নিশ্চিত, আমাদের বোলারদের সঙ্গে অনেক অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে পারবে সে। সঙ্গে যদি প্রয়োজন হয়, আমি সবসময় ওদের পাশে আছি।”

আগামী বুধবার একমাত্র টেস্ট দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে লড়াই।