ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জয় ৬ উইকেটে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার মাহমুদুল খেলেন ৫৫ বলে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস। ৩ চার ও ৭ ছক্কার এই ইনিংসের আগে এবারের লিগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল মাহমুদুলেরই ৭৮।
তার পরও ২০ ওভারে ওল্ড ডিওএইচএস করতে পারে ৭ উইকেটে ১৩৬ রান। রান তাড়ায় গাজী গ্রুপের কেউ ফিফটি করতে পারেনি। তবে কয়েকজনের কার্যকর অবদানে জিতে যায় তারা ৫ বল বাকি রেখে।
মাঝারি রান তাড়ায় গাজী গ্রুপকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন মেহেদি হাসান। তার ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিওর পর বাকিদের কাজ ছিল স্রেফ বলপ্রতি রান করে যাওয়া।
রান রেটের চাপ ছিল না, দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হক গড়েন ৬৩ বলে ৬৫ রানের জুটি। মুমিনুল ২৭ করতে খেলেন ৩৪ বল। টানা দুই ম্যাচে ফিফটির পর এবার সৌম্য করেন ৩৭। ইনিংসে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কার থাকলেও বল লাগে ৩৫টি।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও শেষ করে ফিরতে পারেননি কাজ (১৮ বলে ১৯)। সেই দায়িত্ব নিতে হয় ইয়াসির আলি চৌধুরিকে (১৮ বলে ২৪*)। শেষ ওভারে তার ছক্কায় শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচের প্রথম ভাগ ছিল পুরো মাহমুদুলময়। উইকেটে যান তিনি ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওল্ড ডিওএইচএস দুই ওপেনারকে হারায় দ্রুত। স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রথম খেলতে নামা ডানহাতি পেসার মহিউদ্দিন তারেক উইকেটের দেখা পান প্রথম বলেই। তার ফুল টসে কাভারে ক্যাচ দেন আনিসুল ইসলাম ইমন। আরেক ওপেনার রাকিন আহমেদ এলবিডব্লিউ হন নাসুম আহমেদকে স্লগ সুইপের চেষ্টায়।
৭ ওভার শেষে ওল্ড ডিওএইচএসের রান ছিল ২ উইকেটে মাত্র ২০। মাহমুদুলের রান তখন ১৫ বলে ৪।
পরের ওভারে মেহেদি হাসানকে মাথার ওপর দিয়ে ছক্কায় উড়িয়ে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পান তিনি। মুকিদুল হাসানের বলে ছক্কা মারেন দুর্দান্ত পুল শটে। কিন্তু আরেক প্রান্তে দল দ্রুত উইকেট হারাতে থাকলে তিনি ঢুকে যান খোলসে।
আবার তিনি হাত খোলার সুযোগ পান মুমিনুল হককে সামনে পেয়ে। এবার ছক্কা মারেন টানা দুই বলে। ফিফটি স্পর্শ করেন ৪০ বলে।
তারেকের এক ওভারে আসে ২১ রান। তাতে মাহমুদুল মারেন এক ছক্কা এক চার, আলিসও এক ছক্কা এক চার। শেষ ওভারে মেহেদির অফ স্পিনে প্রথম তিন বলে মাহমুদুল মারেন দুই ছক্কা এক চার। এই ওভার থেকে আসে ১৯।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের পাশাপাশি এবারের লিগের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংসে ৫টির বেশি ছক্কাও মারেন মাহমুদুল। কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতায় কাজে লাগল না এমন ইনিংস। ম্যাচ সেরার পুরস্কার অবশ্য উঠল তার হাতেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওল্ড ডিওএইচএস: ২০ ওভারে ১৩৬/৭ (আনিসুল ১, রাকিন ৮, মাহমুদুল ৮৫*, মোহাইমিনুল ৮, রায়ান ০, রকিবুল ইসলাম ১, প্রিতম ১১, রকিবুল হাসান ০, আলিস ১৫*; নাসুম ৪-০-১০-২, তারেক ৪-০-৩২-১, মুকিদুল ৪-০-২৭-১, মেহেদি ৪-০-৩৭-০, মুমিনুল ২-০-১৮-১, মাহমুদউল্লাহ ২-০-১২-১)।
গাজী গ্রুপ: ১৯.১ ওভারে ১৩৮/৪ (মেহেদি ২২, সৌম্য ৩৭, মুমিনুল ২৭, মাহমুদউল্লাহ ১৯, ইয়াসির ২৪*, জাকির ০*; হামিদুর ২-০-২০-১, মোহাইমিনুল ৪-০-৩২-০, আলিস ৪-০-১৮-১, পায়েল ২.১-০-৩৩-০, রকিবুল ৪-০-২১-০, রায়ান ৩-০-১৪-০)।
ফল : গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ : মাহমুদুল হাসান জয়।