সাউথ্যাম্পটনে আগামী ১৮ জুন শুরু হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরের ফাইনাল। চলতি সপ্তাহে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওয়ানা দিবে ভারত। আর নিউ জিল্যান্ড এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে দেশটিতে। কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে তারা শুরু করে দিয়েছে অনুশীলনও।
এরপর তারা স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলবে দুই টেস্টের সিরিজ। প্রথম টেস্ট শুরু আগামী ২ জুন, পরেরটি ১০ জুন। গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালের আগে এই ম্যাচগুলোর অভিজ্ঞতাই নিউ জিল্যান্ডকে মাঠে দ্রুত মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে, ক্রিকেটনেক্সট-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের এই ভাবনা জানান ভেংসরকার।
“নিউ জিল্যান্ড বাড়তি সুবিধা পাবে, কারণ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগে (ইংল্যান্ডে) দুটি টেস্ট খেলবে তারা। এটা তাদের সাহায্য করবে। ভারত কত দ্রুত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, এটা হবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের ফাইনালের আগেই সেখানে দুই টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে এবং ভারতের বিপক্ষে তারা খেলবে সফরে তৃতীয় টেস্ট, যেখানে বিরাট কোহলি ও তার দলের হবে প্রথম।”
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলবে ভারত। এক যুগেরও বেশি সময়ে ধরে দেশটিতে কোনো টেস্ট সিরিজ জেতেনি দলটি। সবশেষ ২০০৭ সালে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা।
“২০০৭ সালে যখন আমি ভারতের নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম, আমরা ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ জিতেছিলাম। সুখকর স্মৃতি। বিরাট কোহলি ও তার দলের এবার সিরিজ জয়ের সেরা সুযোগ, কেননা তাদের ভালো বোলিং আক্রমণ আছে। আমাদের দারুণ ব্যাটসম্যানও আছে। ভারতের এই সিরিজে জয়ের দারুণ সুযোগ আছে।”
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দীর্ঘ দেড় মাস পর স্বাগতিকদের বিপক্ষে ভারতের টেস্ট সিরিজটি শুরু হবে ৪ অগাস্ট। মাঝের লম্বা বিরতির কোনো যুক্তিই খুঁজে পাচ্ছেন না ভারতের হয়ে ১১৬ টেস্ট ও ১২৯ ওয়ানডে খেলা ভেংসরকার।
“তারা ওই দেড় মাসে কি করবে? আমি সূচি দেখে সত্যিই অবাক। এটা কেমন সফরের আয়োজন করা হয়েছে? এখন একটি টেস্ট খেলার পর দেড় মাস কোনো ক্রিকেট নেই, এরপর টেস্ট সিরিজ, এটা কেমন হলো। ফাইনালের পর তারা (ভারত) কী দেশে ফিরে আসবে, এরপর আবার যাবে? এই দেড় মাসে তারা কি করবে?”