এমন সিরিজেও প্রাপ্তি দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক

চতুর্থ পছন্দের স্পিনার আর এক অলরাউন্ডার যিনি মূলত ব্যাটসম্যান, ধসিয়ে দিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। বড় হার দিয়ে শেষ হলো দলটির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যাওয়া সিরিজে এরপরও অনেক প্রাপ্তি দেখছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তার চোখে পড়েছে অনেক ইতিবাচক দিক। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2021, 11:18 AM
Updated : 3 May 2021, 11:20 AM

দ্বিতীয় টেস্টে ২০৯ রানে হেরে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। সোমবার পঞ্চম ও শেষ দিনে ২২৭ রানে গুটিয়ে গেছে তারা।

দুই ইনিংস মিলিয়েও প্রতিপক্ষের প্রথম ইনিংসের রান ছাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশকে ২৫১ রানে থামানোর পর সুযোগ ছিল ফলো অন করানোর। না করিয়ে দ্রুত রান তুলে ৯ উইকেটে ১৯৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয় ইনিংসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার প্রাভিন জয়াবিক্রমা রেকর্ডের মালা সাজিয়ে নেন ১১ উইকেট আর অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার রমেশ মেন্ডিস ৬ উইকেট।

পাল্লেকেলেতে পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বললেন, সিরিজে হারের পরও থাকে নানা প্রাপ্তি। হতাশার শেষের পর সেই সব প্রাপ্তির হিসাব মেলাচ্ছেন তিনি।

“অবশ্যই প্রাপ্তির কিছু না কিছু আছে। আমি সিরিজ হেরেছি এর মানে এই না যে, সব কিছু হেরে গিয়েছি। একটু সমালোচনা হবে, অনেকেই অনেক কথা বলবে। এর ভেতরেও অনেক ইতিবাচক দিক আছে, আমার কাছে মনে হয়।”

“প্রথম টেস্টে আমি সবসময় চাচ্ছিলাম যে দলগতভাবে খেলব। যেভাবে আমরা শেষ দুয়েকটা টেস্টে খেলতে পারিনি। আমার মনে হয়, প্রথম টেস্টে আমরা দল হিসেবে খেলতে পেরেছি। আমরা তখনই ভালো খেলি যখন আমরা দলগতভাবে খেলতে পারি। দলের সবাই যখন অবদান রাখে তখন আমরা দল হিসেবে ভালো করতে পারি।”

তিনটি ফিফটি এসেছে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। দেশের বাইরে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুমিনুল। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম টেস্টে ফিফটি এসেছে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।

এসব ছাড়িয়ে অধিনায়কের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি তাসকিন আহমেদের বোলিং। লম্বা সময় ধরে গতি ধরে রেখে বোলিং করেছেন। ব্যাটসম্যানদের ভাবিয়েছেন। দুই ম্যাচ মিলিয়ে নিয়েছেন ৮ উইকেট। সহজ ক্যাচগুলো হাতছাড়া না হলে তার উইকেট বাড়তে পারত।

“আমার কাছে মনে হয় যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আপনারাও হয়তো এটা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন, কোনো পেসার কিছু করতে পারছে কিনা। সেই হিসেবে তাসকিনকে দেখেছেন। আগের চেয়ে অনেক ভালো এখন। অনেক উন্নতি করেছে। আমার মনে হয়, সব মিলিয়ে অনেক ইতিবাচক দিক ছিল এই টেস্ট সিরিজে।”