পরের টেস্টে ‘অন্যরকম কিছুর’ অপেক্ষায় বাংলাদেশ

বোলারদের ভোগান্তির টেস্ট শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু রয়ে গেছে রেশ। প্রচণ্ড গরমে ব্যাটিং বান্ধব  পিচে একেকটি উইকেটের জন্য মাথা কুটে মরার দশা হয়েছিল দুই দলের বোলারদের। বাংলাদেশের ‘টিম লিডার’ খালেদ মাহমুদের ধারণা, শ্রীলঙ্কা দলেরও পছন্দ হয়নি এমন ব্যাটিং স্বর্গ। দ্বিতীয় টেস্টে তাই অন্যরকম উইকেটের প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2021, 01:15 PM
Updated : 26 April 2021, 04:45 PM

পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্টে পাঁচ দিন মিলিয়ে উইকেট পড়ে কেবল ১৭টি। পঞ্চম দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত গড়ায় দুই দলের প্রথম ইনিংস। পুরো পাঁচ দিনে খুব একটা পাল্টায়নি উইকেটের আচরণ। শুরুতে ঘাস ছিল উইকেটে, কিন্তু পেসারদের জন্য ছিল না কোনো সুবিধা। বরং সেই ঘাসের জন্য উইকেট ভাঙেনি এতটুকুও। তাই দুই দল আশায় থাকলেও চতুর্থ, পঞ্চম দিনে স্পিনারদের জন্য মেলেনি সহায়তা।      

প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫৪১ রান করে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে করে ৬৪৮ রান। বৃষ্টি আগেভাগেই রান উৎসবের ম্যাচ শেষ করার আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২ উইকেটে ১০০ রান। 

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। ভেন্যু একই, খালেদ মাহমুদের ধারণা, উইকেট একইরকম হবে না।

“এই টেস্ট ম্যাচের উইকেট একদম নিষ্প্রাণ উইকেট ছিল। এই গরম কন্ডিশনে, এই উইকেটে ফল হওয়া খুব কঠিন আসলে। আমি মনে করি, এরপর আমাদের জন্য অন্যরকম কিছু অপেক্ষা করছে। সেটা কী, এখনই বলা যাবে না উইকেট না দেখে। কালকে মাঠে গিয়ে উইকেট দেখে হয়তো বলতে পারব।”

বাংলাদেশের টিম লিডার ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ। ছবি : শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।

ড্র হওয়া প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে শ্রীলঙ্কার কোচ মিকি আর্থার বলেন, পরের টেস্টে তাদের চাওয় অন্য রকম উইকেট। ম্যাচ শেষে লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেও জানান, দ্বিতীয় টেস্টে উইকেটে বোলারদের জন্য সহায়তা চান। সব মিলিয়ে মাহমুদ নিশ্চিত, অন্য রকম উইকেটেই খেলা হবে এবার।  

“সিমিং উইকেট হতে পারে, কতটা সিমিং হবে জানি না। কিংবা স্পিন সহায়ক উইকেটও হতে পারে। তবে অবশ্যই নিষ্প্রাণ উইকেট হবে না বলেই আমি মনে করি। শ্রীলঙ্কা দলও হয়তো খুব একটা পছন্দ করেনি এই উইকেট।”

খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এমন মরা উইকেট বোলারদের কতটা ভোগায়, ভালোই জানা আছে মাহমুদের। দুই দলের বোলারদের হতাশা ছুঁয়ে যাচ্ছে তাকেও।

“আমি খুবই সরি বোলারদের জন্য, দুই দলের বোলারদের জন্যই। এই উইকেটে বোলারদের জন্য ম্যাচ জেতানো কঠিন। টেস্ট ম্যাচ ২০ উইকেটের খেলা। আমাদের বোলিং আক্রমণ থেকে ওদের ফাস্ট বোলিং আক্রমণ অনেক অভিজ্ঞ ছিল। হয়তো আমরা স্পিনে বেশি অভিজ্ঞ ছিলাম, কিন্তু পেসে ওরা। ওরাই এখানে বেশি উইকেট নিতে পারেনি।”

“৫ দিন খেলা শেষে ২০টির মতো (১৭টি) উইকেট পড়েছে। ফল হওয়ার জন্য খুব ভালো উইকেট এটা না। তবে পরের ম্যাচে হয়তো অন্য রকম উইকেট আশা করছি আমরা।”