হারারে স্পোর্টস ক্লাবে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ২৪ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। ১৬৫ রান তাড়ায় স্বাগতিকরা থেমে যায় ১৪১ রানে।
আগের ম্যাচে হারের হতাশা ভুলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে বাবর আজমের দল।
এই ইনিংস খেলার পথে বাবর দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিরাট কোহলিকে ছাপিয়ে দ্রুততম দুই হাজার রানের রেকর্ড গড়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
দলের জয়ে বড় অবদান হাসানের। মাত্র ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে এই পেসার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার । পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সেরা ২৩ রানে তিন উইকেট।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শারজিল খানকে হারায় পঞ্চম ওভারে। লুক জঙ্গুয়ের ফুলটসে মিড-অফে ধরা পড়েন তিনি।
এরপর বাবর ও রিজওয়ানের ব্যাটে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে পাকিস্তান। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন দুইজন। দারুণ ছন্দে থাকা রিজওয়ান ৩৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন। পাকিস্তান অধিনায়কের পঞ্চাশ আসে ৪৪ বলে।
শেষ ওভারে তাদের ১২৬ রানের জুটি ভাঙেন জঙ্গুয়ে। ৪৬ বলে ৫ চারে ৫২ রান করে ফিরেন বাবর। পরের বলেই বিদায় নেন ফখর জামান। পাকিস্তানের তিনটি উইকেটই নেন জঙ্গুয়ে।
জবাব দিতে নেমে দ্রুত তারিসাই মুসাকান্দাকে হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর দলের হাল ধরেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও টাডিওয়ানাশে মারুমানি। লক্ষ্যের দিকে দলকে গিয়ে নিতে থাকেন দুই জন।
৩২ রান করা মারুমানিকে ফিরিয়ে ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ হাসনাইন। পরে বোলিংয়ে এসে জোড়া শিকার ধরেন হাসান। ৩৭ বলে ফিফটি করা মাধেভেরে ৫৯ রানে হন কট বিহাইন্ড, দুই বল পর রেজিস চাকাভাকে ফিরিয়ে দেন এই পেসার।
অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর ও শন উইলিয়ামসের ব্যাটে এরপরও আশায় ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে পারেননি তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৬৫/৩ (রিজওয়ান ৯১*, শারজিল ১৮, বাবর ৫২, ফখর ০, হাসান ০*; মুজারাবানি ৪-০-৩৫-০, এনগারাভা ৪-০-৩৪-০, জঙ্গুয়ে ৪-০-৩৭-৩, মাসাকাদজা ৪-০-২৪-০, বার্ল ৪-০-৩৩-০)।
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৪১/৭ (মাধেভেরে ৫৯, মুসাকান্দা ১০, মারুমানি ৩৫, টেইলর ২০, চাকাভা ০, উইলিয়ামস ৯, জঙ্গুয়ে ৫, মাসাকাদজা ০*, মুজারাবানি ০*; হাসনাইন ৪-০-২৬-১, হাসান ৪-০-১৮-৪, ফাহিম ৪-০-৩০-০, রউফ ৪-০-৩৪-২, উসমান ২-০-১৭-০, হাফিজ ২-০-১৩-০)।
ফল: পাকিস্তান ২৪ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে পাকিস্তান।
ম্যান অব দা ম্যাচ: হাসান আলি।
ম্যান অব দা সিরিজ: মোহাম্মদ রিজওয়ান।