রুবেল-তাসকিনের দারুণ বোলিং

শুরু থেকেই ভোগাচ্ছে ফিল্ডিং। হাতছাড়া হয়েছে দুটি ক্যাচ। কাজে লাগানো যায়নি রান আউটের দুটি সুযোগ। তবুও রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদের দারুণ বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে শুরুটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2021, 11:47 PM
Updated : 25 March 2021, 11:55 PM

এই প্রতিবেদন লেখার সময় ১৫ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৩ উইকেটে ৭২ রান। টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে দুই জনই ৭ রানে ব্যাট করছেন।

ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে শুক্রবার টস জিতে ব্যাটিং নেন ল্যাথাম। সিরিজে প্রথমবার আগে বোলিং পাওয়া বাংলাদেশ খুব একটা হাত খোলার সুযোগ দেয়নি স্বাগতিকদের দুই ওপেনারকে।

মার্টিন গাপটিল সুযোগ পেলেই শট খেলেছেন। তবে বাজে বল কমই পেয়েছেন তিনি। আরেক ওপেনার হেনরি নিকোলস ভুগেছেন পুরোটা সময়।

বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ খুব একটা সুইং পাননি। তাসকিন কাজে লাগিয়েছেন উইকেটে থাকা সুবিধা। সপ্তম ওভারে মুস্তাফিজের জায়গায় রুবেল আক্রমণে আসার পর রান তোলা আরেকটু কঠিন হয়ে যায় নিউ জিল্যান্ডের জন্য।

এর আগেই দুইবার নিকোলসকে রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভারে মিড অফে মাহমুদউল্লাহ বল মুঠোয় নিতে পারেননি। ষষ্ঠ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ স্টাম্পে লাগান। কিন্তু তার আন্ডার আর্ম থ্রোয়ে ততটা জোর না থাকায় সময় মতো পৌঁছে যান নিকোলস।

অষ্টম ওভারে তাসকিনের বলে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান নিকোলস। ঝাঁপিয়ে দুই হাতে বলের নাগাল পেলেও গ্লাভসে জমাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। উল্টো হয় বাউন্ডারি। আগের ম্যাচেও অনেকটা একই ধরনের ক্যাচ ছেড়েছিলেন মুশফিক।

এবার খুব একটা মাশুল দিতে হয়নি। এক বল পরেই নিকোলসকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। ফুল লেংথ বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। বাঁহাতি এই ওপেনার ২১ বলে করেন ১৮ রান। ভাঙে ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি।

পরের ওভারেই রুবেল ধরেন বড় শিকার। বিদায় করেন বিপজ্জনক গাপটিলকে। অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল পুল করার চেষ্টায় মিড অনে ক্যাচ দেন তিনি। সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান লিটন। গাপটিল ২৮ বলে করেন ২৬।

প্রথম ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৩ রান তোলে নিউ জিল্যান্ড। পরের ৫ ওভারে ১৮ রান যোগ করতে হারায় দুই ওপেনারকে।

চোট কাটিয়ে ফেরা রস টেইলর ফিরে যেতে পারতেন ৩ রানেই। রুবেলের অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে খেলার চেষ্টায় ক্যাচ দেন মিড অফে। কিন্তু ক্যাচ তালুতে জমাতে পারেননি মুস্তাফিজ।

এবারও খুব একটা মাশুল দিতে হয়নি। বাউন্ডারি মেরে পরের বলেই ফিরে যান টেইলর। রুবেলের বলটি ছিল শরীরের বেশ কাছে। তবুও কাট করেন টেইলর। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা সহজ ক্যাচ গ্লাভসে জমান মুশফিক।

মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের জায়গায় একাদশে ফেরা রুবেল ৫ ওভারে ২৫ রানে নেন ২ উইকেট। ৭ ওভারের টানা স্পেলে তাসকিন ২৯ রানে নেন একটি।