এশিয়া একাদশ-বিশ্ব একাদশ ম্যাচের আশা ছাড়েনি বিসিবি

মুজিব জন্মশতবর্ষের রাষ্ট্রীয় আয়োজনের মেয়াদ বেড়েছে আগেই। এশিয়া একাদশ ও অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের ক্রিকেট সিরিজের আশাও তাই শেষ হয়ে যায়নি বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সুযোগ হলে সিরিজটি যত দ্রুত সম্ভব আয়োজন করতে চান তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2021, 11:50 AM
Updated : 17 March 2021, 11:50 AM

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে বুধবার বিসিবিতে কোরআন পাঠ ও দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচীতে এসে বিসিবি প্রধান জানান, মুজিববর্ষের ক্রিকেট সিরিজ নিয়ে বোর্ডের ভাবনা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত বছরের ২১ ও ২২ মার্চ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল এশিয়া একাদশ ও অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তার আগে ১৮ মার্চ হওয়ার কথা ছিল এ আর রহমানের কনসার্ট। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপে স্থগিত হয়ে যায় সব।

বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে প্রায় সব জায়গায়। মাঠে দর্শক প্রবেশ এখনও স্বাভাবিক না হলেও খেলা চলছে নিয়মিতই। বাংলাদেশেও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে সফর করে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কদিন পর শুরু হচ্ছে জাতীয় লিগ।

মুজিববর্ষের ক্রিকেট সিরিজের আলোচনাও তাই আবার উঠে আসছে। সম্প্রতি কোভিডের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় নতুন শঙ্কাও অবশ্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিসিবি সভাপতি আশা ছাড়ছেন না।

“যেহেতু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন (মুজিববর্ষের মেয়াদ) বাড়ানো হয়েছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত, সেজন্য আমরা একটা আশার আলো দেখছি। হয়তো এটা আবার করা যেতে পারে। সঙ্গে এটাও আমাদের মনে রাখতে হবে যে, কোভিড পরিস্থিতি কিন্তু খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে এখন। সেটাও আমাদের চোখে রাখতে হচ্ছে যে কোন দিকে যায় না যায়। তবে অবশ্যই ইচ্ছা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই টুর্নামেন্টটি করা।”

“কখন কী করা যায়, কী ধরনের প্লেয়ার পাওয়া যেতে পারে, কোন সময় থেকে পাওয়া যাবে, এসব চিন্তা করেই আমরা একটা পরিকল্পনা তৈরি করছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, এই মাসের শেষের মধ্যেই আমরা যোগাযোগ করতে পারব। যেহেতু আমাদের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছিল। কিন্তু এখন যেভাবে বাড়ছে তাতে করে তো একটু শঙ্কিত। অনেক দেশ আবার লকডাউনে চলে যাচ্ছে। তবে এটুকু নিশ্চিত করতে পারি, যদি সুযোগ পাই, প্রথম সুযোগেই আমরা এই খেলাটা আয়োজন করে ফেলব।”

স্থগিত হওয়ার আগে দুই দলের ক্রিকেটারদের নামও প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিল বিসিবি। অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশে খেলার কথা ছিল কাইরন পোলার্ড, ক্রিস গেইল, ফাফ দু প্লেসি, জনি বেয়ারস্টো, অ্যালেক্স হেলস, নিকোলাস পুরান, ব্রেন্ডন টেইলর, আদিল রশিদের মতো ক্রিকেটারদের। এশিয়া একাদশে নাম ছিল তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, শিখর ধাওয়ান, রিশাব পান্ত, থিসারা পেরেরা, লাসিথ মালিঙ্গা রশিদ খান, মোহাম্মদ শামিদের। এক ম্যাচ করে খেলার কথা ছিল লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলির।