দারুণ ধারাবাহিকতায় এবার মাহমুদুলের সেঞ্চুরি

আগের ম্যাচে রান তাড়ায় দল জিতে যাওয়ায় থমকে যেতে হয়েছিল ৮০ রানে অপরাজিত থেকে। এবার আগের ব্যাটিংয়ের সুযোগ, সেঞ্চুরির সুযোগও তাই ছাড়লেন না মাহমুদুল হাসান জয়। দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে তরুণ ব্যাটসম্যান বয়ে নিলেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের ইনিংস।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2021, 07:06 AM
Updated : 14 March 2021, 07:06 AM

আয়ার‌ল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে একদিনের ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচে মাহমুদুল খেলেন ১২৩ রানের ইনিংস। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের এটি প্রথম সেঞ্চুরি।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ ইমার্জিং দল শেষ ওভারে অলআউট হয় ২৬০ রানে।

ওপেনার সাইফ হাসান আউট হওয়ার পর তৃতীয় ওভারে উইকেটে যান মাহমুদুল। দলকে প্রায় শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে রান আউট হন তিনি ৪৯তম ওভারে।

মাহমুদুল সাধারণত যেভাবে ব্যাট করেন, এই ইনিংসও ছিল সেভাবেই গড়া। ঠাণ্ডা মাথায় আগলে রাখেন এক প্রান্ত, ঝুঁকি খুব বেশি নেননি। যথারীতি বাজে বলকে সাজা দিতেও ভুল করেননি।

শুরুতে তিনি ছিলেন একটু নড়বড়ে। প্রথম বাউন্ডারি পান পেসার পিটার চেইসের বলে ব্যাটের কানায় লেগে, দুই স্লিপের মাঝ দিয়ে। পরে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে দারুণ এক ফ্লিকে বাউন্ডারি মেরে পেয়ে যান আত্মবিশ্বাস।  

আরেকপ্রান্তে খুব লম্বা সময় তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। কিন্তু তিনি খেই না হারিয়ে ধরে রাখেন দলের হাল। ৫ চারে ফিফটি স্পর্শ করেন ৭১ বলে। শতরানে পৌঁছাতে আরও ২টি চারের সঙ্গে যোগ হয় ২টি ছক্কাও। ১২৪ বলে পা রাখেন তিন অঙ্কে।

লেগ স্পিনার গ্যারেথ ডেলানির বলে একটু বেরিয়ে প্রথম ছক্কা মারেন লং অন দিয়ে। পরে ফ্রি হিটে চেইসের বল লং অফ দিয়ে ওড়ান ছক্কায়। দল নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় শেষ দিকে রান বাড়ানোর কাজও করতে হয় তাকেই। সেঞ্চুরির পর ১১ বলে করেন ২৩ রান।

তার সৌজন্যেই মূলত আড়াইশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়তে পারে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।

মাহমুদুল সিরিজ শুরু করেছিলেন শূন্য রান করে। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৬৬। তৃতীয় ম্যাচে ১৬ রানে আউট হওয়ার পর শেষ দুই ম্যাচে আবার দারুণভাবে জ্বলে উঠল তার ব্যাট।