‘বিগ থ্রি’ নিয়ন্ত্রণে আইসিসিকে শক্ত হতে স্মিথের আহ্বান

নিজেদের মধ্যে একের পর এক সিরিজ খেললেও অন্য দলগুলোর বিপক্ষে কমই খেলতে দেখা যায় ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে। এখানটায় আইসিসিকে শক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গ্রায়েম স্মিথ। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার পরিচালকের মতে, বিগ থ্রির বিপক্ষে খেলার ন্যায্য সুযোগ পাওয়া উচিত ছোট দলগুলোর।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2021, 03:13 PM
Updated : 15 Feb 2021, 03:13 PM

কদিন আগে করোনাভাইরাসের শঙ্কা দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। মার্চে হওয়ার কথা থাকা সিরিজটির জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করে ফেলেছিল সিএসএ। এখন তা না হওয়ায় আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির সামনে দেশটির বোর্ড। আইসিসির কাছে এই সমস্যা সমাধানের জন্য এরই মধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে তারা।

আগেও এ নিয়ে হতাশার কথা বলেছেন স্মিথ। সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, ক্রিকেটে এখন খুব করেই দরকার শক্ত নেতৃত্বের।

“এই মুহূর্তে এমন নেতৃত্বের প্রয়োজন যারা জটিলতা বোঝে। আগামী ১০ বছরে কেবল তিনটি দেশই একে অপরের বিপক্ষে খেলবে, আমার মনে হয় না বিশ্ব ক্রিকেট এমনটা চায়। এতে কীভাবে খেলাটির উন্নতি হবে?”

চলতি বছর নিজেদের মধ্যে নয়টি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড ও ভারত। অস্ট্রেলিয়া এরই মধ্যে খেলেছে ভারতের বিপক্ষে, সামনে তাদের অ্যাশেজ সিরিজ রয়েছে ইংল্যান্ডের সঙ্গে।

বছর জুড়ে এই তিন দলের আধিপত্য চলতে থাকলে ভবিষ্যতে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে আইসিসিকে সতর্ক করে দিয়েছেন স্মিথ।

“এমন হলে, টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর প্রভাব বেড়ে যাবে, সেগুলো এতো বড় হয়ে যাবে যে হয়তো বাকি সদস্য দেশগুলো খুব কম কিংবা কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচই পাবে না। আইসিসির নেতৃত্বে যারা আছেন তাদের এখনই এই জায়গায়গুলোর নজর দেওয়া উচিত।”

প্রতি বছরে আইসিসির টুর্নামেন্ট, বড় বড় দেশগুলোর ঘরোয়া আসরের সঙ্গে বিগ থ্রির সিরিজের আধিক্যে ছোট দলগুলো বঞ্চিত হচ্ছে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট থেকে। স্মিথ জানান, এতে বেশ চাপে থাকে নিচের সারির দলগুলো।

“আট বছরে সম্ভাব্য আটটি আইসিসি টুর্নামেন্ট, বর্ধিত আইপিএল এবং পঞ্জিকায় ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্যের কারণে এফটিপি বিশাল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। বাকি সদস্য দেশগুলোর জন্য যা চ্যালেঞ্জিং। অন্য সদস্য, যারা ভালো কিছু ম্যাচের আশায় থাকে, আমাদের মতো তাদের ওপরও চাপ বেড়ে যায়।”