টেস্ট ক্রিকেটের বাংলাদেশ: ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব কোথা’

অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে নেই ধারাবাহিকতা। দায়িত্বজ্ঞানহীন ও খামখেয়ালি শটে বিপদে ফেলেন দলকে। তাদের পরের প্রজন্মের অনেকে ৫-৬ বছর খেলেও হয়ে ওঠেন না অভিজ্ঞ। নেতৃত্বের ক্ষেত্রে অভাব মৌলিকত্ব, কর্তৃত্ব আর সৃষ্টিশীলতার। কোচদের কণ্ঠে থাকে পরিকল্পনা আর প্রক্রিয়ার বুলি, কাজে দেখা যায় উল্টো। অভিভাবক সংস্থা বিসিবির কর্মকাণ্ডে ফুটে ওঠে গুরুত্ব ও যত্নের অভাব। অবকাঠামো ও পরিকল্পনার সমস্যা তো চিরন্তন, এসব উন্নত করার পরিকল্পনাও সামান্য।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2021, 01:39 PM
Updated : 15 Feb 2021, 01:48 PM

সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের অযত্ন ও অবহেলায় এখন প্রচণ্ড রুগ্ন ও শীর্ণ। নানা সময়ে নানা টোটকায় সাময়িকভাবে সুস্থ করার চেষ্টা হয়েছে। তাতে কাজও হয়েছে মাঝেমধ্যে। কিন্তু লম্বা পথ চলার মতো উপযুক্ত দাওয়াই দেওয়া হয়নি কখনোই। তাই টেস্ট ক্রিকেটের বাংলাদেশ বেশির ভাগ সময় থাকে শয্যাশায়ী।

প্রত্যাশা মেটে না অভিজ্ঞতায়

মুশফিকুর রহিমের টেস্ট ক্যারিয়ারের বয়স ১৫ বছরের বেশি, তামিম ইকবাল খেলছেন ১৩ বছর ধরে। কিন্তু অভিজ্ঞতার প্রতিফলন পড়ছে না ধারাবাহিকতায়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি তামিম। দ্বিতীয় টেস্টে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তার স্কোর ৪৪ ও ৫০। ওয়ানডের গতিতে ব্যাট করা নিয়ে প্রশ্ন নেই ম্যাচের প্রেক্ষাপটে। তবে ইনিংস বড় করতে না পারলে তো প্রশ্ন ওঠেই! দুই ইনিংসেই তিনি আউট হয়েছেন অপ্রয়োজনীয় শটে।

এই সিরিজের আগে গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেন ৪১, ভালো করেননি পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিণ্ডি টেস্টেও। ২০১৯ সালে নিউ জিল্যান্ড সফরে দুই টেস্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। কিন্তু তার আগে ১২ ইনিংসে ফিফটি ছিল কেবল ১টি, সেটিও ৫২ রানের ইনিংস।

প্রতিভা, সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা মিলিয়ে গত কয়েক বছরে বিশ্বসেরাদের একজন হয়ে ওঠার কথা ছিল তামিমের। অথচ তিনি বাংলাদেশ দলের প্রত্যাশাই পূরণ করতে পারছেন না পুরোপুরি।

তামিম ইকবাল ও অন্য অভিজ্ঞরা এভাবেই দলকে হতাশ করছেন বারবার।

একই কথা বলা যায় মুশফিকের ক্ষেত্রেও। গত আড়াই বছরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অন্য কোনো দলের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরি নেই গত চার বছরে! এই সময়ে চারটি সিরিজ গেছে, একটি ফিফটিও ছিল না।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে চার ইনিংসেই দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন, অথচ ফিফটি কেবল একটি। সেটিও ৫৪ রানের। মিরপুর টেস্টে রিভার্স সুইপে তার উইকেট বিলিয়ে আসা বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুঃস্বপ্ন হয়ে রইবে হয়তো অনেক দিন।

মুমিনুল হক ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ১টি সেঞ্চুরি করেছেন, বাকি ৩ ইনিংসে একবারও ৩০ ছুঁতে পারেননি। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেন। তবে তার আগে ১২ ইনিংসে ফিফটি ছিল কেবল ১টি।

বাংলাদেশের বাস্তবতায় দলে তাদের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন নেই অবশ্যই। তবে টেস্টে দলকে পরের ধাপে নিতে হলে তো এই অভিজ্ঞদের পারফরম্যান্সও হতে হবে বিশ্বমানের! সেখানে তারা ব্যর্থ চরমভাবে।

অন্যরাও তথৈবচ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পারফরম্যান্সে লিটন দাসকে কাঠগড়ায় তোলার উপায় নেই। দলের সর্বোচ্চ রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই। তবে উইকেট ছুঁড়ে আসার জন্য আঙুল তোলা যায় ঠিকই। প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারার দায়ও নিতে হবে তাকে। টেস্টে হাজার রান হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেঞ্চুরি করতে পারেননি ২২ টেস্ট খেলে।

মোহাম্মদ মিঠুন মিরপুর টেস্টে সুযোগ পেয়ে প্রথম ইনিংসে বেশ লড়াকু খেলছিলেন। পরে আউট হন যথারীতি বাজে শটে। দ্বিতীয় ইনিংসে তো টিকতেই পারেননি সেভাবে। ১০ টেস্ট খেলা হয়ে গেছে তার, ফিফটি মোটে ২টি। গড় বিশের নিচে।

সৌম্য সরকারকে আচমকা টেস্টে ডেকে এনে যেভাবে খেলানো হয়েছে, এটা হয়তো তার প্রতিও অন্যায়। তবে তিনি পারেননি এরকম একটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলে অবদান রাখতে। তার গোটা টেস্ট ক্যারিয়ারের ছবিও হতাশার।

বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে যাকে মনে করা হচ্ছে দেশের ব্যাটিংয়ের ভবিষ্যৎ, বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রিকেটে অনেক যত্ন নিয়ে যাকে গড়া হয়েছে, সেই নাজমুল হোসেন শান্ত প্রত্যাশা পূরণের ধারেকাছে নেই এখনও। ৬ টেস্ট খেলে তার একমাত্র ফিফটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

৪৯ টেস্ট খেলার পর বাদ পড়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। ইমরুল কায়েসের সবশেষ টেস্ট ফিফটি ২৬ ইনিংস আগে। সবশেষ ১০ ইনিংসের ৮ বারই তিনি ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। ৩৯ টেস্টের অভিজ্ঞতার পর তিনি তাই দলের বাইরে।

এরকম গল্প প্রায় সবার!

ব্যাটিং অর্ডার

মুশফিকুর রহিম এখন আর টেস্টে কিপিং করছেন না। অথচ ব্যাটিং করছেন ৫ নম্বরে। সাকিব আল হাসান ৬ নম্বরে। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালকে বাদ দিলে, দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যান এত নিচে ব্যাট করে, বিশ্বের আর কোনো দলেই সম্ভবত এমনটি দেখা যাবে না!

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে সৌম্য সরকারকে খেলানোর প্রক্রিয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে টপ অর্ডারে ব্যাট করে দারুণ সফল লিটন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করেন টপ অর্ডারেই। অথচ টেস্ট দলে তিনি ব্যাট করছেন ৭ নম্বরে। তার মতো প্রতিভাবান একজনের প্রতি তাতে সুবিচার হচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাব নেই।

রানে না থাকা শান্তর আত্মবিশ্বাস নড়বড়ে হলেও টানা তাকে তিনে খেলিয়েই যাওয়া হচ্ছে। অথচ নিচের দিকে নামালে একটু চাপমুক্ত খেলার সুযোগ তার থাকে।

ব্যাটিং অর্ডার যেটা আগে থেকে ঠিক করা থাকে, ম্যাচের পরিস্থিতি অন্য কিছু দাবি করলেও পরিবর্তন আনার কোনো প্রবণতা কখনোই দেখা যায় না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাটিং অর্ডার। বিশেষ করে মিরপুর টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে, টপ অর্ডারে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের ভিড় দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন দুই প্রান্তে অফ স্পিনার দিয়ে বোলিং করে সফল হচ্ছিল, তখনও মিরাজ বা লিটনের মতো ডানহাতিদের ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে তোলা হয়নি।

টিম ম্যানেজমেন্টের প্রশ্নবিদ্ধ পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়া

দীর্ঘ এক বছর পর টেস্ট খেলতে নামলেও সিরিজের আগে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেনি দল। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার বাস্তবতা যদিও ছিল না, কিন্তু নিজেদের মধ্যে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেলে অন্তত মরচে ঝরানো যেত। সেটির উদ্যোগ দেখা যায়নি।

বাংলাদেশের টেস্ট সংস্কৃতি তথা ক্রিকেট সংস্কৃতির দৈন্য ফুটে ওঠে সৌম্য সরকারকে মিরপুর টেস্টের দলে নেওয়ার ঘটনায়। ওপেনার সাদমান ইসলাম চোটে ছিটকে যাওয়ার পর জরুরি বার্তা পাঠিয়ে দলে যোগ করা হয় সৌম্যকে। অথচ বিসিবির লাল বলের চুক্তিতে তিনি নেই। টেস্ট সিরিজের প্রাথমিক দলেও ছিলেন না।

দলে নিয়ে মিরপুরে তাকে ইনিংস ওপেনও করানো হয়। সিরিজের শুরু থেকেই দলে থাকা ওপেনার সাইফ হাসান হয়ে থাকেন দর্শক। অথচ আগের দুই-আড়াই বছরে টেস্টে সৌম্যকে বিবেচনা করা হয়েছে মিডল বা লোয়ার-মিডল অর্ডারে।

কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও বোলিং কোচ ওটিস গিবসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বলে আসছেন পেস বোলারদের প্রয়োজনীয়তার কথা। দেশের মাঠেও অন্তত দুই জন পেসার খেলানোর কথা। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দুই টেস্টেই একাদশে স্পেশালিস্ট পেসার ছিলেন কেবল ১ জন করে।

চট্টগ্রাম টেস্টে একমাত্র পেসার হিসেবে বেছে নেওয়া হয় মুস্তাফিজুর রহমানকে, যিনি বোর্ডের লাল বলের চুক্তিতে নেই এবং দীর্ঘদিন ছিলেন টেস্টের বিবেচনার বাইরে। গত দুই-আড়াই বছরের পারফরম্যান্সে যিনি হয়ে উঠেছেন অবিসংবাদিতভাবে দলের সেরা টেস্ট পেসার, সেই আবু জায়েদ চৌধুরি চট্টগ্রামে বসে থাকেন বাইরে।

দল বাছাই থেকে শুরু করে খেলার কৌশল ও বিভিন্ন পদক্ষেপ, কোনো কিছুতেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ছাপ চোখে পড়ে না খুব একটা।

ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক দায়িত্ব পালন করছেন তিন বছর ধরে। সৌম্য সরকার ছাড়া এখনও পর্যন্ত নির্ভর করার মতো একজন স্লিপ ফিল্ডার নেই। ব্যাটসম্যানের কাছাকাছি ‘সিলি’ পজিশনগুলোতে ফিল্ডিং করার মতো মুমিনুল ছাড়া ভালো কেউ নেই। এই সৌম্য-মুমিনুলরাও আবার বিশ্বমান থেকে অনেক পেছনে। সামগ্রিক ফিল্ডিংয়ের মানে নেই ধারাবাহিকতা।

এবং বিসিবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশড স্বাদের পর বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে ক্রিকেটারদের ও টিম ম্যানেজমেন্টকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। পরিবর্তনের কথা বলেছেন জোর দিয়ে। বলেছেন জবাবদিহিতার কথা। কিন্তু তার কাছে, বোর্ডের দিকেও তো প্রশ্ন কম নেই!

২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি সরকারের মনোনয়নে। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বলেছিলেন, টেস্টের দিকে মনোযোগ দেবে তার বোর্ড। এরপর ২০১৩ ও ২০১৭ সালে নির্বাচনে জিতে দায়িত্বে পালন করছেন তিনি ৮ বছরের বেশি সময় ধরে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটের উন্নয়নে খুব বেশি পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

মাত্র গত বছর টেস্টের জন্য ক্রিকেটারদের আলাদা চুক্তির ব্যবস্থা করেছে বোর্ড। টেস্টের ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়েছে বেশ। দুটিই বেশ ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু টেস্টের উন্নয়নে ব্যবস্থা বলতে উল্লেখযোগ্য কাজ এই বোর্ডের এতটুকুই!

ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো এই ৮ বছরে খুব একটা শক্তিশালি হয়নি। ক্রিকেটীয় মানে বড় উন্নতি হয়নি। ঘরোয়া বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার মতো কোনো পথ এখনও বের করতে পারেনি বোর্ড। ম্যাচ ফি, সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো নিয়ে ক্রিকেটারদের আন্দোলন-ধর্মঘটও করতে হয়েছে। এমনকি বলের মানও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য দারুণ জরুরি ‘এ’ দলের নিয়মিত খেলা। কিন্তু নিয়মিত সূচি তো বহুদূর, বাংলাদেশে ‘এ’ দলের খেলা থাকে কদাচিৎ। বিসিবির তহবিলের টাকার অভাব নেই, অথচ এই জায়গায় বিনিয়োগের চিহ্ন তেমন নেই।

বিসিবি একাডেমির নামে যেটা আছে, তা আসলে হয়ে উঠেছে আবাসিক হোস্টেল। ক্রিকেটারদের সমস্যা বের করা, সেগুলো নিয়ে কাজ করার কোনো জায়গা নেই। বিভিন্ন দেশের ও কন্ডিশনের মতো উইকেট তৈরি করা তো অকল্পনীয়। স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি একাডেমির আশা করা যেন অলীক কল্পনা।

মিরপুরের বাইরে ভালো কোনো ইনডোর সুযোগ-সুবিধা নেই। মিরপুরের ইনডোরেও সমস্যার শেষ নেই।

ভালো জিমনেসিয়াম বলতে একটিই, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। সেখানেই জাতীয় দল, হাই পারফরম্যান্স দল, বয়সভিত্তিক দল, মেয়েদের দল, বিভিন্ন ক্লাব দল, সবার জিম করতে হয় ভাগাভাগি করে।

বিপিএল বা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মতো টুর্নামেন্টের সময় ছোট্ট একাডেমি মাঠে একসঙ্গে ৪-৫ দলের অনুশীলন চালাতে হয়। জাতীয় দল ও এর আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের ছাড়া অন্য ক্রিকেটারদের অনুশীলন সুবিধা নিয় যত কম বলা যায়, ততই ভালো। আধুনিক প্রযুক্তি তো বেশির ভাগ ক্রিকেটারের কাছে দূর আকাশের তারা।

এসবের বাইরে দল নির্বাচন, একাদশ বাছাই, এমনকি টস জিতলে সিদ্ধান্ত ও দলের কৌশল, এসব ব্যাপারেও বিসিবি প্রধানের নিত্য হস্তক্ষেপের নমুনা তো আছেই।

একটা দেশের ক্রিকেটে যখন চূড়া থেকে তলা পর্যন্ত এত সমস্যা, সেই দেশ যে মাঝেমধ্যে ম্যাচ জেতে, এটিও হয়তো অনেক!