ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য শনিবার দেওয়া ১৮ জনের দলে জায়গা পেয়েছেন মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। তাদেরকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন মিনহাজুল।
“আমরা তিন জন নতুন মুখ দলে নিয়েছি, এটা পরিকল্পনার অংশ। এ সিরিজ থেকেই আমরা নতুন শুরু করছি। ওদের তৈরি করা এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে রেখে কাজ করানোর জন্যই এই তিন জন ‘আনক্যাপড’ খেলোয়াড় রাখা হয়েছে।”
“২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে, সেটার একটা পরিকল্পনা আছে। এখন আমরা চিন্তা করছি, ‘সিরিজ বাই সিরিজ’ যাবো। প্রথমেই আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেয়েছি। ঘরের মাঠে আমরা চাই, ভালো ক্রিকেট খেলে সিরিজটা শুরু করতে। সবকিছু মিলিয়ে আমি মনে করি, আমাদের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ শুরু হল এই সিরিজ থেকে।”
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জনের দল দিয়েছে বিসিবি। বাড়তি খেলোয়াড় থাকায় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য একাদশ গড়ার সুযোগ দেখেন সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল।
“এখানে সব ধরনের কম্বিনেশনের সুযোগ রাখা হয়েছে। পেস বোলিং কিংবা স্পিন যখন যেটার দরকার হবে, যে ম্যাচে দরকার হবে তখনি পরিবর্তন করা যাবে। টিমের কম্বিনেশন যথেষ্ট ভালো। ব্যাটিং, বোলিং সব দিক দিয়ে একটা ভারসাম্য রাখা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই দল আমাদের ভালো একটা সিরিজ উপহার দিবে।”
“নতুন খেলোয়াড়দের জন্য এই প্ল্যাটফর্ম একটা বিরাট ব্যাপার। এ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওরা দলের সিনিয়রদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে দলে যথেষ্ট অবদান রাখতে পারবে বলে আশা করছি।”
এই সিরিজ দিয়ে আইসিসি ওয়ানডে লিগে অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশের। ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে প্রতিটি পয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই খেলোয়াড়দের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ দেখছেন প্রধান নির্বাচক।
“আমাদের জন্য একটা ফ্রেশ শুরু। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত বড় বিরতি মানে শূন্য থেকে শুরু করা। সে হিসেবে প্লেয়ারদের উপর একটা চাপ অবশ্যই থাকবে, চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে হবে। যেহেতু আমরা ঘরের মাঠে খেলছি তাই চ্যালেঞ্জ আরও বেশি।”
“আমাদের জন্য ঘরের মাঠের এই সিরিজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছি। আমাদের জন্য এটাও একটা চাপ হিসেবে কাজ করবে। এসব চিন্তা না করে সবাই মিলে পারফরম করে এই সিরিজটায় আমরা ভালো করতে চাই।”