এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে এই টুর্নামেন্ট দিয়েই ফিরেছেন সাকিব। প্লেয়ার্স ড্রাফটে জেমকন খুলনা নিজেদের প্রথম ডাকেই দলে নিয়েছিল তাকে। তার কাছে প্রত্যাশা বরাবরের মতোই ছিল আকাশচুম্বি। কিন্তু তিনি এখনও পর্যন্ত পারেননি তা পূরণ করতে।
প্রাথমিক পর্বে ৮ ইনিংসে ৭৬ বল খেলে সাকিবের রান ৮২, গড় ১০.২৫। সর্বোচ্চ ইনিংস ১৫ রানের। বল হাতে ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৫.৭৩। তবে ৮ ম্যাচে মোটে ৫ উইকেট তার নামের পাশে যথেষ্টই বেমানান। চারটি ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য।
দীর্ঘ বিরতির পর ছন্দ পেতে সময় লাগাটা অস্বাভাবিক নয়। তবে সাকিবের মতো একজনের ৮ ম্যাচেও জ্বলে উঠতে না পারা বিস্ময়কর বটে।
বেক্সিমকো ঢাকার তরুণ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম শেখ বৃহস্পতিবার সাকিবের প্রথম ওভারেই ছক্কা মারেন চারটি। ব্যাটে-বলে আরেকটি ব্যর্থ এই ম্যাচের পর নিজের পারফরম্যান্সের উন্নতির আশা সাকিব ছেড়ে দিলেন সময়ের হাতে।
“জানি না…দেখি, কত দ্রুত কামব্যাক করা যায়। চেষ্টা থাকবে যেন ভালো করতে পারি। বাকিটা দেখা যাক…।”
সাকিব যে দলে খেলছেন, কাগজে-কলমে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে তারকাবহুল দল নিয়েও সেই খুলনা টুর্নামেন্টে অধারাবাহিক। শীর্ষ চারে থাকা নিশ্চিত হলেও প্রাথমিক পর্বে শেষ দুই ম্যাচই তারা হেরেছে। সাকিবের আশা, কোয়ালিফায়ারে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
“টি-টোয়েন্টি যেহেতু মোমেন্টামের ব্যাপার, সেহেতু প্রভাব পড়তেই পারে (হারের প্রভাব সামনে ম্যাচগুলিতে)। তবে তিন দিন বিরতি আছে আমাদের এখন। আমরা গুছিয়ে নিয়ে আবার নতুন ভাবে শুরুর চেষ্টা করব। একটা ম্যাচেরই ব্যাপার (ঘুরে দাঁড়ানো)। যদি আমরা আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমাদের ভালো ফল সম্ভব।”