প্রথম টেস্টের শুরুর দিন শেষে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ৭৮ ওভারে ২৪৩ রান করেছে নিউ জিল্যান্ড। সেঞ্চুরির দুয়ারে দাঁড়িয়ে উইলিয়ামসন, ব্যাট করছেন ৯৭ রানে। তার ২১৯ বলের ইনিংস গড়া ১৬ চারে।
রস টেইলর খেলছেন ৩১ রানে। এরই মধ্যে জমে গেছে দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যানের জুটি। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে তারা যোগ করেছেন ৭৫ রান।
শুরুতে উইকেট নেওয়ার সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি সফরকারীরা। মাটি কামড়ে পড়েছিলেন ল্যাথাম। ছেড়ে গেছেন বলের পর বল। তবে ক্যারিবিয়ানরা লাইন, লেংথে ভুল করলেই তুলে নিয়েছেন ফায়দা। বাউন্ডারিতে বাড়িয়েছেন রান।
উইলিয়ামসন যথারীতি খেলেছেন আস্থার সঙ্গে। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রামে থাকা অধিনায়ক ফিরেছেন সতেজ হয়ে। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে আরও একবার দেখিয়েছেন কেন তাকে সময়ের সেরাদের ছোট্ট তালিকায় রাখা হয়।
সবুজ উইকেট পেয়ে একটু বেশিই রোমাঞ্চিত ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা। ভালো বলের ফাঁকে বেশ কিছু আলগা বলও করেছেন তারা। যেগুলো সরিয়ে দিয়েছে চাপ।
৩০৯ বলে জুটির রান দেড়শ ছাড়ানোর পর এগোতে পারেনি বেশিদূর। চমৎকার এক ডেলিভারিতে ল্যাথামকে বোল্ড করে ১৫৪ রানের জুটি ভাঙেন কেমার রোচ। ১৮৪ বলে খেলা স্বাগতিক ওপেনারের ৮৬ রানের ইনিংসে ১২ চারের পাশে একটি ছক্কা।
সেটাই দিনের শেষ সাফল্য। টেইলর ক্রিজে আসার পর বেড়েছে রানের গতি। উইলিয়ামসনও এগিয়ে যাচ্ছেন ২২তম টেস্ট সেঞ্চুরির দিকে। সবুজ উইকেটে ক্যারিবিয়ান পেসারদের হুমকি সামাল দিয়ে নিউ জিল্যান্ড গড়ছে রান পাহাড়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৭৮ ওভারে ২৪৩/২ (ল্যাথাম ৮৬, ইয়াং ৫, উইলিয়ামসন ৯৭*, টেইলর ৩১*; রোচ ১৫-৩-৫৩-১, গ্যাব্রিয়েল ১৭-৫-৬২-১, হোল্ডার ১৯-৮-২৫-০, জোসেফ ১৭-৬-৪৩-০, চেইস ৯-০-৪২-০, ব্র্যাথওয়েট ১-০-২-০)