করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুলতান সুলতানসকে ২৫ রানে হারায় লাহোর। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তারা করেছিল ১৮২ রান। মুলতান থমকে যায় ১৫৭ রানে।
একই মাঠে আগামী মঙ্গলবার শিরোপা লড়াইয়ে লাহোরের প্রতিপক্ষ করাচি কিংস। দুই দলের সামনেই টুর্নামেন্টে প্রথম শিরোপার হাতছানি।
২০ বলে ৫ চারে তামিম করেন ৩০ রান। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক আগের ম্যাচে পেশাওয়ার জালমির বিপক্ষে রান তাড়ায় করেছিলেন ১০ বলে ১৮।
প্রথম ওভারে অফ স্পিনার অ্যাডাম লিথের বলে তামিম ডাউন দা উইকেটে এসে ঠিকমতো খেলতে না পারলেও পেয়ে যান বাউন্ডারি। দ্বিতীয় ওভারে সোহেল তানভিরকে চার মারেন দৃষ্টিনন্দন কাভার ড্রাইভে। পরের ওভারে আরেক পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইলিয়াসকে চার হাঁকান পরপর দুই বলে।
চার ওভারেই লাহোর তুলে ফেলে ৪২ রান। পরের ওভারে তামিমের বিদায়ে ভাঙে ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। জুনাইদ খানের বলে কিছুটা আগেই প্যাডল খেলতে গিয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সেখানেই বল উঠে যায় আকাশে। সহজ ক্যাচ নেন খুশদিল শাহ।
আরেক ওপেনার ফখর জামান থামেন ৪৬ রান করে। তার ৩৬ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও দুটি ছক্কা। আর শেষ দিকে ঝড় তুলে ভিসা ২১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় করেন অপরাজিত ৪৮ রান। শেষ ১৪ বলে লাহোর তোলে ৪৬ রান।
২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাহোরের সেরা বোলার ভিসা। একই সঙ্গে তিনি দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নেন বাউন্ডারিতে। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
লাহোর কালান্দার্স: ২০ ওভারে ১৮২/৬ (তামিম ৩০, ফখর ৪৬, সোহেল ৫, হাফিজ ১৯, ডাঙ্ক ৩, প্যাটেল ২৬, ভিসা ৪৮*; লিথ ২-০-২২-১, তানভির ৪-০-৫২-১, ইলিয়াস ২-০-১৭-১, জুনাইদ ৪-০-৪২-১, তাহির ৪-০-৩০-০, আফ্রিদি ৪-০-১৮-২)
মুলতান সুলতানস: ১৯.১ ওভারে ১৫৭ (জিশান ১২, লিথ ৫০, মাসুদ ২৭, রুশো ১৮, বোপারা ১, খুশদিল ৩০, আফ্রিদি ০, তানভির ৩, ইলিয়াস ৯, তাহির ১, জুনাইদ ০*; শাহিন আফ্রিদি ৪-০-৩৬-২, হাফিজ ৪-০-৩২-০, রউফ ৪-০-৩০-৩, দিলবার ৩.১-০-২৯-২, ভিসা ৪-০-২৭-৩)
ফল: লাহোর কালান্দার্স ২৫ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ডেভিড ভিসা।