কোহলিকে ঘৃণা করতে ভালোবাসেন পেইনরা

ক্রিকেট সমর্থক হিসেবে বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখতে না চাওয়ার কারণ নেই। কিন্তু প্রতিপক্ষ হিসেবে বড় চাওয়া থাকে তাকে দ্রুত ফেরানো। সম্পর্ক ও মনোভাবের ক্ষেত্রে কোহলি এভাবেই অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করেছেন বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2020, 03:57 AM
Updated : 15 Nov 2020, 04:08 AM

সামনের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি শুরুর দেড় মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে সিরিজ নিয়ে নানা কথার মেলা। সেই কথার বেশির ভাগ জুড়ে আপাতত কোহলি। চার ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি খেলেই ভারতীয় অধিনায়ক দেশে ফিরবেন সন্তানসম্ভবা স্ত্রী আনুশকা শর্মার পাশে থাকার জন্য। কোহলি না থাকার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।  

এবিসি স্পোর্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় পেইন অবশ্য কোহলিকে আলাদা কিছু উল্লেখ করতে চাইলেন না শুরুতে।

“ বিরাট কোহলিকে নিয়ে অনেক প্রশ্ন শুনতে হয় আমার। তবে আমার কাছে সে স্রেফ আর দশটা ক্রিকেটারের মতোই। এটা আমাকে খুব একটা ভাবায় না। তার সঙ্গে সম্পর্ক বলেও তেমন কিছু সত্যি বলতে নেই। টসের সময় দেখা হয়, ব্যস, সেটুকু্‌।”

তবে কোহলি যে আসলে বিশেষ কিছু, সেটা পরে ঠিকই ফুটে উঠেছে পেইনের কথায়।

“ বিরাটকে নিয়ে ব্যাপারটি মজার। আমরা তাকে ঘৃণা করতে ভালোবাসি, আবার ক্রিকেট ভক্ত হিসেবে আমরা তার ব্যাটিং দেখতে ভালোবাসি। এক্ষেত্রে সে নিশ্চিতভাবেই নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তাকে ব্যাট করতে দেখতে আমরা ভালোবাসি, কিন্তু আমরা দেখতে চাই না সে খুব বেশি রান করুক।”

কোহলির সঙ্গে আগে পেইনের কথার লড়াই জমেছিল তুমুল। সেটিকে স্বাভাবিক বলেই মনে করেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।

“ অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের লড়াইটাই উত্তপ্ত। সে লড়াকু একজন ক্রিকেটার, আমিও তেমনই। কিছু সময় ছিল, যখন আমরা কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছি। তবে সেটি এই কারণে নয় যে আমরা দুজনই অধিনায়ক, যে কোনো কারও সঙ্গে এটা হতে পারত।”

কথার লড়াইয়ের ফল যেমনই হোক, মাঠের লড়াইয়ে আগেরবার জিতেছিল ভারত। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া থেকে সিরিজ জিতে ফিরেছিল তারা। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন না সেরা দুই ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। এবার মাঠে নামতে মুখিয়ে আছেন সবাই, বললেন পেইন।

“ আমি সবকিছুর জন্যই প্রবল আগ্রহে অপেক্ষা করছি, অনেক বড় সিরিজ এটি। তারা শেষবার আমাদের হারিয়েছিল, যদিও দল ছিল ভিন্ন। আগে যেটা বললাম, দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেবল বাড়ছেই। ক্রিকেটার হিসেবে, দল হিসেবে সেরা বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ নিতেই সবাই তাকিয়ে থাকে। আমরাও অপেক্ষা করছি।”

১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে দুই দলের টেস্ট সিরিজ। তার আগে সীমিত ওভারের সিরিজ শুরু ২৭ নভেম্বর থেকে।