রোহিতের সাফল্য ও কোহলির সাফল্য খরা দেখেই গম্ভিরের এই অভিমত। এবারের আইপিএলে রোহিতের নেতৃত্বে আবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ৮ মৌসুমে মুম্বাইয়ের এটি পঞ্চম শিরোপা, প্রতিটিই রোহিতের নেতৃত্বে।
এছাড়াও জাতীয় দলে কোহলির অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফি, ওই বছরই এশিয়া কাপে শিরোপা এনে দিয়েছেন রোহিত। কোহলির নেতৃত্বে ৮ মৌসুমে বাঙ্গালোর একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি আইপিএলে। জাতীয় দলেও অধিনায়ক হিসেবে মহাদেশীয় বা বৈশ্বিক কোনো শিরোপা পাননি অধিনায়ক কোহলি।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর একটি শোতে গম্ভির তুলে ধরলেন এসব যুক্তিই।
গম্ভিরের মতে, অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের নিজেকে প্রমাণের আর কিছু বাকি নেই।
“ আমরা সবসময় বলি যে, ধোনি ভারতের সফলতম অধিনায়ক, কেন? কারণ তিনি দুটি বিশ্বকাপ ও তিনটি আইপিএল জিতেছেন। রোহিত পাঁচটি আইপিএল ট্রফি জিতেছেন, টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সফলতম অধিনায়ক। সামনে যদি সে ভারতের সাদা বলের অধিনায়ক না হয় বা স্রেফ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, তাহলে তা হবে খুবই হতাশার।”
“ সে যা করেছে, আর বেশি কিছু করার নেই। অধিনায়কত্ব করতে পারলেই কেবল সে দলকে শিরোপা জয়ে সাহায্য করতে পারে। সে যদি সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক না হয়, তাহলে এটা তাদেরই ক্ষতি।”
ভারতীয় ক্রিকেটে কোহলির যে প্রভাব, তাতে নেতৃত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন। তাকে খারাপ অধিনায়ক বলেও মনে করেন না গম্ভির। তবে কলকাতাকে দুটি আইপিএল জয়ে নেতৃত্বে দেওয়া সাবেক এই ব্যাটসম্যানের মতে, রোহিত এই দায়িত্বের জন্য বেশি উপযুক্ত।
“ দ্বৈত-নেতৃত্বের কথা ভাবতে পারে তারা। তাতে কারও ক্ষতি হবে না। রোহিত দেখিয়ে দিয়েছে যে সাদা বলের ক্রিকেটে তার ও বিরাটের নেতৃত্বে বড় পার্থক্য আছে। একজন ক্রিকেটার তার দলকে পাঁচটি শিরোপা জিতিয়েছে, আরেকজন কিছুই জেতেনি।”
“ এমন নয় যে বিরাট বাজে অধিনায়ক বলে আমি এমনটা বলছি। তবে সে রোহিতের মতো একই প্ল্যাটফর্ম পেয়েছে। কাজেই দুজনকে একই মানদণ্ডে মাপতে হবে। দুজনই একই পরিমাণ সময় আইপিএলে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমার মনে হয়, রোহিত নেতা হিসেবে নিজেকে আলাদা করে মেলে ধরেছে।”