নিজেকে নিয়ে কখনই তৃপ্ত নন স্টোকস

সময়ের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন তিনি। ব্যাট-বল হাতে কাটছে দারুণ সময়। তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্ত নিজেকে নিয়ে যেন সন্তুষ্ট নন বেন স্টোকস। ইংলিশ অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, নিজের পারফরম্যান্সে কখনই তৃপ্ত হন না তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2020, 12:53 PM
Updated : 30 Oct 2020, 12:53 PM

২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা স্টোকস গত তিন-চার বছরে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে রান তার ৭ হাজারের বেশি, উইকেট প্রায় ২৫০টি। অনেকে তাকে রাখেন ইংলিশ দুই কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম ও অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফের পাশে।

গত বিশ্বকাপ জয়েও ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল স্টোকসের। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে দলের বিপর্যয়ে খেলেন অসাধারণ এক ইনিংস। তবে আরও ভালো করার ক্ষুধায় এখনও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

গত কয়েক বছরে নিজেকে এখনকার অবস্থানে নিয়ে আসার পেছনের গল্পটা ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানালেন স্টোকস। একইসঙ্গে বললেন, নিজেকে নিয়ে অতৃপ্ত থাকার কথা।

“অভিজ্ঞতা। যদি বেশি খেলা যায়, তত নিজের সম্পর্কে জানা যায়। বিভিন্ন বিষয় ও পরিস্থিতি বোঝার সামর্থ্য তৈরি হয়। খেলোয়াড় হিসেবে যেখানে আছি, এটা নিয়ে আমি কখনই তৃপ্ত নই।”

“আমি সব সময় উন্নতির চেষ্টা করি। এখনও আমি নিজের শক্তির জায়গা নিয়ে কাজ করছি, এভাবেই আমি রান করি ও উইকেট নিই। একই সঙ্গে আমার দুর্বলতাগুলোও দূর করার চেষ্টা করছি, যেটা আমাকে ক্রিকেটার হিসেবে আরও ধারাবাহিক করবে।”

স্টোকসের সেরাদের একজন হওয়ার পেছনে বড় অবদান আছেন জো রুট, জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের মতো অভিজ্ঞ ও প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের। তার মতে, রুটের বিপক্ষে বোলিং ও অ্যান্ডারসন-ব্রডের বিপক্ষে ব্যাটিং তাকে অনেক সাহায্য করেছে।

“রুটের বিপক্ষে বোলিং বা দারুণ দুই ইংলিশ ফাস্ট বোলারের বিপক্ষে ব্যাটিং সামর্থ্যের পরীক্ষা নেয়। খেলাটির সব দিকেরই তারা পরীক্ষা নেয়, ব্যাট বা বল যেটাই হাতে আমার থাকুক না কেন। নেটের ২০ মিনিট বা আধ ঘণ্টা দারুণ চ্যালেঞ্জের।”