গত মার্চের পর থেকে ক্রিকেটের বাইরে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লম্বা বিরতিতে স্কিলে খানিকটা মরচে পড়ে যাওয়ার শঙ্কা অনেকের। কার কি অবস্থা, ম্যাচের একটা কল্পিত পরিস্থিতি দিয়ে বুঝে নিতে চাইলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
দুই বাঁহাতি ওপেনারের নেটে ছিলেন তাসকিন আহমেদ ও মাহমুদুল হাসান। পরে আসেন দুই অফ স্পিনার মাহমুদউল্লাহ ও নাঈম হাসান।
শুরুতেই সাদমানকে একবার বোল্ড করা তাসকিন একটু ভুগছিলেন লাইন নিয়ে। একবার লাইন পেয়ে যাওয়ার পর অবশ্য বাকিটা সময় বেশ ভালো বল করেছেন তিনি। তরুণ পেসার হাসান শুরু থেকে বল করেছেন দারুণ লাইন-লেংথে। গতিও ছিল বেশ ভালো।
যথারীতি তামিম ছিলেন সাবলীল। ব্যাট করেছেন আস্থার সঙ্গে। একটু ভুগছিলেন সাদমান।
দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মিঠুন ও ইয়াসির শুরুতে সামলান রুবেল হোসেন, আল আমিন হোসেন ও সৌম্য সরকারকে। রুবেলের বাড়তি বাউন্স মাঝে মধ্যেই পরীক্ষায় ফেলেছে তাদের।
এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন মুমিনুল ও নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। শুরুতে দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান খেলেন হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে। অন্য সেটে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে সে সময় বোলিং করছিলেন রুবেল ও খালেদ। একটু পরেই অবশ্য নেট বদল করেন মুস্তাফিজ ও রুবেল।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল কিছুটা বাইরে করতে দেখা গেছে মুস্তাফিজকে। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল ভেতরে ঢোকানোর যে চেষ্টা করছেন বাঁহাতি এই পেসার, সফল হওয়ার আভাস মিলেছে এদিন। দুই নেটেই হাসান ছিলেন দুর্দান্ত।
সবশেষ ব্যাটিংয়ে আসেন ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার এবং লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেন। ঘুরে ফিরে প্রায় সব বোলাররা বোলিং করেন তাদের। এই পর্ব শেষে ড্রেসিং রুমের সামনে লম্বা সময় ধরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেন ডমিঙ্গো।