ইংল্যান্ডের চলতি মৌসুমের ঘরোয়া বড় দৈর্ঘ্যের টুর্নামেন্ট বব উইলিস ট্রফি শুরুর আগে এই চোট পেয়েছিলেন অনিয়ন্স। চিকিৎসকের পরামর্শেই শুক্রবার অবসরের ঘোষণা দেন ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
পিঠের চোটের কারণে খুব সমৃদ্ধ হয়নি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও। ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে ৯ টেস্ট খেলে অনিয়ন্স উইকেট নেন ৩২টি। অভিষেকটা হয়েছিল আলো ঝলমলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়ে নাম তুলেছিলেন লর্ডসের অনার্স বোর্ডে। ছিলেন ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করা দলেও।
ব্যাট হাতে তেমন কার্যকর না হলেও ২০০৯-১০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুবার ম্যাচ বাঁচাতে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেঞ্চুরিয়ন ও কেপ টাউন টেস্টে শেষ ইনিংসে দলের ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এগারো নম্বরে নেমে কাটিয়ে দিয়েছিলেন বাকি সময়। দুটি ম্যাচই হয়েছিল ড্র।
ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন তিনি চারটি ওয়ানডে ম্যাচও, সবকটিই ২০০৯ সালে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এরপরও চালিয়ে গেছেন লড়াই করে। ২০০৪ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের পর ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ ম্যাচই খেলেছেন ডারহামের হয়ে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কাউন্টি দলটির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। ২৫.৫৮ গড়ে নিয়েছেন ৫৩৭ উইকেট। ২০০৭ সালে ডারহামের প্রথম বড় শিরোপা জয়ে রেখেছিলেন অবদান। ২০০৮ থেকে ছয় মৌসুমের মধ্যে তিনবার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে তার দল।
ডারহাম ছেড়ে ২০১৭ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারে যোগ দেন অনিয়ন্স। নতুন ক্লাবের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উইকেট নিয়েছেন ১০৪টি। সব মিলিয়ে ১৯২ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৭২৩টি। সব সংস্করণ মিলিয়ে সংখ্যাটি ৮৭৪।
এভাবে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানতে না চাইলেও কোনো আক্ষেপ নেই অনিয়ন্সের। বরং ফিরে তাকালেন তার অর্জনগুলির দিকে।
“এভাবে আমি খেলা থেকে বিদায় নিতে চাইনি। তবে আমাকে চিকিৎসকদের কথা শুনতে হবে। সামনের বছরগুলিতে আমার স্বাস্থ্য-সুরক্ষার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”
"যতদিন খেলেছি আমার সর্বোচ্চটা উজার করে দিয়েছি এবং ক্যারিয়ার শেষে কোনো আক্ষেপ নেই। অ্যাশেজ জয়ী ইংল্যান্ড দলের অংশ হওয়া থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ডারহামের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, ক্যারিয়ার শুরুর আগে যতটা স্বপ্ন দেখেছিলাম তার চেয়ে বেশি অর্জন করেছি। এত বছর ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলতে পারায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।”