সেপ্টেম্বরের শেষে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। ২৪ অক্টোবর শুরু হবে সিরিজ। আর ২৯ অক্টোবর শেষ হবে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা।
নিয়ম অনুযায়ী নিষিদ্ধ থাকার সময়টায় জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করার সুযোগ নেই সাকিবের। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জানালেন, সাকিবকে দলে ফেরানোর পথ খুঁজছেন তারা।
“অবশ্যই সে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। সে দলে থাকলে বাংলাদেশের শক্তি অনেক বেড়ে যায়। সুতরাং এটাতো আমাদের মাথায় আছে।”
“সাকিবের ব্যাপারটা নিয়ে আমরা কথাবার্তা বলেছি। আরও আলোচনার বিষয় আছে। মানে কি কি নিয়ম আছে, আইসিসি থেকে সেটা আমরা জেনে তারপরেই এগোব। সে মুক্ত হবে ২৯ অক্টোবর।”
“আমরা যতটুকু জানি, সে দলের সাথে অনুশীলন করতে পারবে না। সুতরাং এটা আমাদের আলোচনা করতে হবে কোচের সাথে, সাকিবের সাথে। বোর্ড সভাপতির সাথেও আলাপ করতে হবে। আলাপ হয়েছে আজ, কিন্তু চূড়ান্ত কোন জায়গায় পৌঁছাইনি।”
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর, আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ খেলেছেন সাকিব। তার ফিটনেসের ব্যাপারটাও আকরামদের ভাবনায় আছে। এইচপি কমিটির চেয়ারম্যান ও বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান জানালেন, সব দিক দেখে সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
“সাকিবকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারপরও এখানে অনেক কিছু আলোচনার আছে। সাকিব নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পর আইসিসির গাইডলাইনে কী আছে সেগুলো বিবেচনা করতে হবে। সাকিবের ফিটনেস লেভেল কোন পর্যায়ে, সেটা দেখতে হবে। কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচকদের মতামত নিতে হবে। বোর্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। সবকিছু মিলিয়ে আসলে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে।”
জুয়াড়ির কাছ থেকে তিন দফায় ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন করায় গত বছরের অক্টোবরে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পান সাকিব, যার মধ্যে এক বছরের শাস্তি স্থগিত। সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রমের বাইরে থাকতে হবে তাকে আগামী ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত।