ইংল্যান্ডে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয়েছিল পাকিস্তান। অলরাউন্ড সামর্থ্যে ভরপুর দল নিয়েও লর্ডসে ফাইনালে তারা স্রেফ উড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
বিশ্বকাপের আগের বছরও আমির সোহেল ছিলেন অধিনায়ক। কিন্তু পরে আর জায়গাই পাননি ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পাকিস্তান স্কোয়াডে। সাবেক পাকিস্তানি ওপেনার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এত বছর পর কথা বললেন সেই বিশ্বকাপ নিয়ে।
“ ১৯৯৮ সালে আমি যখন অধিনায়ক, নির্বাচকদের সঙ্গে আমরা ঠিক করেছিলাম যে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের জন্য আমাদের নিয়মিত ওপেনারদের বেছে নিতে হবে যে কিনা উইকেটে টিকে থাকতে পারে এবং নতুন বল কাটিয়ে দিতে পারে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পরে বেছে নেওয়া হয় শহিদ আফ্রিদিকে।”
“ নিচু বাউন্সের উইকেটে সে বোলারদের ওপর দাপট দেখাতে পারত এবং প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারত। কিন্তু চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে তাকে ওপেনিংয়ে খেলানো ছিল বড় জুয়া। সেটিই হয়েছে, সে ব্যাটিং বা বোলিং, কিছুই পারেনি। ওয়াসিম আকরামের জায়গায় আমি অধিনায়ক হলে ওপেনিংয়ে বেছে নিতাম মোহাম্মদ ইউসুফকে।”
ওই বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ওপেন করে আফ্রিদি রান করেছিলেন মোট ৪৩। পরে দুই ম্যাচ ৭ নম্বরে খেলে তার রান ছিল ৫০। ৭ ম্যাচে তার একমাত্র উইকেট ছিল বাংলাদেশের অধিনায়ক আমিনুল ইসলামের।
আমির সোহেলের মতে, ওই বিশ্বকাপে পাকিস্তান খেলেছে পাড়ার দলের মতো। তার চোখে ফাইনালে দল হেরেছিল দুটি কারণে।
“ওই বিশ্বকাপে হারার দুটি কারণ আছে আমার মতে। আমাদের দলীয় সমন্বয় একদমই ঠিক ছিল না। আর আমরা ফাইনালে টস জয়ের পর ঠিক সিদ্ধান্ত নেইনি।”
“ আমার ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ থেকে বলতে পারি, গোটা বিশ্বকাপ আমরা পাড়ার দলের মতো খেলেছি। এক ম্যাচে একরকম লাইন-আপ ছিল, পরের ম্যাচেই অন্যরকম, ব্যাটিং অর্ডার ক্রমাগত বদলাচ্ছিল।”
সোহেলের দাবি, সাবেক অধিনায়ক সেলিম মালিক তাকে বলেছিলেন, অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম টসের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা রাখেননি।
“ ওই বিশ্বকাপের আগে খবরে এসেছিল, লন্ডনে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। লর্ডস একটু ঢালু বলে সবসময়ই বল কিছু না কিছু করে। সেলিম মালিক আমাকে বলেছিলেন, তিনি ওয়াসিম আকরামকে অনুরোধ করেছিলেন আগে ব্যাট না করতে। কারণ আগে ব্যাট করা খুব কঠিন, অস্ট্রেলিয়ার আত্মবিশ্বাসী বোলিং লাইন-আপের সামনে আমাদের ব্যাটসম্যানদের ঠেলে দেওয়া উচিত হবে না।”
“ সেলিম মালিক আমাকে বলেছিলেন, ওয়াসিম আকরাম তাকে বলেছিলেন যে অবশ্যই টস জিতলে আগে বোলিং করবেন। কারণ আমাদের বোলাররা ভালো করছিল। আমরা প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকাতে পারতাম এবং ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারতাম।”
টস জিতে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান গুটিয়ে গিয়েছিল স্রেফ ১৩২ রানে। অস্ট্রেলিয়া কেবল ২ উইকেট হারিয়েই জিতে গিয়েছিল ২০.১ ওভারে।