২০১৯ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন আর্চার। এখন পর্যন্ত ইংলিশ এই পেসার খেলেছেন সাতটি টেস্ট, ১৪টি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে রেখেছেন অবদান। ভালো করেছেন অ্যাশেজ সিরিজেও।
আর্চারকে প্রতিপক্ষ হিসেবে তিনটি ওয়ানডেতে পেয়েছে পাকিস্তান। আসছে সিরিজে প্রথমবারের মতো লাল বলে বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া এই পেসারের মুখোমুখি হবে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা।
তিনটি করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলতে রোববার ২০ সদস্যের দল নিয়ে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে পাকিস্তান। দলের সঙ্গে সফরে যাওয়ার আগে আর্চারকে নিয়ে ভাবনায় থাকার কথা জানান ইউনিস।
“সে সত্যিকারের ম্যাচ উইনার এবং প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি। তার চাপ নেওয়ার ক্ষমতা অনেক, যেটা বিশ্বকাপ ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ সুপার ওভার করে সে প্রমাণ করেছে।”
“তাকে নিয়ে চারপাশে যে আলোড়ন, এটা তার ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করতে পারে। আমি ব্যাটসম্যানদের বলেছি, শরীরের কাছ থেকে খেলতে এবং ব্যাক ফুটে খেলতে। কারণ তার ইন-সুইঙ্গার হতে পারে খুবই ভয়ানক।”
২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ড্র করা সিরিজে ব্যাট হাতে পাকিস্তানের হয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন ইউনিস। সেই সফরেই সাসেক্সের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে আর্চারের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।
“সেই ম্যাচে পাঁচ উইকেট পেয়েছিল সে। কিন্তু ওই সময় সে তার বোলিংয়ে এখনকার মতো শীর্ষ পর্যায়ে ছিল না।”
শুধু আর্চার নয়, অ্যান্ডারসন-ব্রডদের নিয়েও ভাবছেন ইউনিস। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জ দেখছেন টেস্টে দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তাদের সামলাতে আবহাওয়ারও একটু সহায়তার প্রয়োজন দেখছেন তিনি।
“অ্যান্ডারসন ও ব্রডের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার পূর্ণ। তারা সব সময়ই অসাধারণ বোলিং জুটি। যখনই ইংল্যান্ড জেতে, তাদের থাকে সিংহভাগ অবদান। অগাস্টে অবশ্য আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে এবং মেঘ থাকবে না। সে সময় তাদেরকে ভালোভাবে সামলানো সম্ভব।”