মিসবাহ যদিও বলছেন, তুলনা করা তার পছন্দ নয়। একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তবু তুলনা ঠিকই করলেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক।
“তুলনা করা আমার ঠিক পছন্দ নয়। তবে বাবর এই মুহূর্তে বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথ বা জো রুটের উচ্চতার কাছাকাছিই আছে। সে এমন একটি ওয়ার্ক এথিকে বিশ্বাস করে যে, কোহলির চেয়ে ভালো হতে হলে নিজের স্কিল, ফিটনেস ও ম্যাচ পরিস্থিতি সচেতনতায় আরও বেশি কাজ করতে হবে।”
নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার যে তাড়না বাবরের মধ্যে দেখেছেন, তাতে মুগ্ধ মিসবাহ।
“নেটে ও মাঠে সে চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে। ক্রিকেটার হিসেবে সে সত্যিই পরিণত হয়েছে। অধিনায়ক হিসেবেও সময়ের সঙ্গে আরও অভিজ্ঞ হয়ে উঠবে।”
টি-টোয়েন্টির পর সম্প্রতি বাবরকে পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বও দেওয়া হয়েছে। অনেকের শঙ্কা, নেতৃত্বের চাপে ব্যাটসম্যান বাবর হারিয়ে ফেলতে পারেন ফর্ম। তবে নিজের উদাহরণ দিয়েই আশার জায়গা দেখালেন মিসবাহ।
“টি-টোয়েন্টির অধিনাকত্ব দিয়ে আমরা তাকে পরখ করে দেখেছি। দেখতে চেয়েছি, এই চ্যালেঞ্জ সে কীভাবে নেয়। পরে আমরা সবাই একমত হতে পেরেছি যে সে খুব ভালো করেছে এবং সবচেয়ে বড় কথা, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পেরেছে।”
“বাবরের মতো পারফর্মার হলে দলের অন্য সবাইকে অনুপ্রাণিত করা ও সব কাজ ঠিকঠাক করা সহজ হয়ে ওঠে। ২০১০ সালে আমাকে যখন অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন আমার ফর্মও ছিল এলোমেলো, দলে আসা-যাওয়া করছিলাম। কিন্তু নেতৃত্ব আমার খেলা, আমার মানসিকতা বদলে দিয়েছিল। আমি আরও পরিশ্রমী ও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছিলাম।”