আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় এই সিরিজ খেলার কথা ভারতের। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সিরিজ নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। শঙ্কা আছে এখনও, তবে সময়ের সঙ্গে তা কমে আসছে। এই সিরিজ না হলে ৩০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার আয় থেকে বঞ্চিত হবে অস্ট্রেলিয়া, সিরিজটি আয়োজনে তারা তাই মরিয়া।
ভারতীয় দলকে আগেভাগেই সফরে নিয়ে নির্দিষ্ট সময় কোয়ারেন্টিনে রেখে, পুরো সিরিজ একটি বা দুটি শহরে দর্শকশূন্য মাঠে আয়োজন করার পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় বোর্ড কিছুদিন আগে বলেছে, কোয়ারেন্টিনে থাকতে তাদের আপত্তি নেই।
অস্ট্রেলিয়ার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখন যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত। সিরিজের কোনো একটা পর্যায়ে মাঠে দর্শক ঢোকার অনুমতি দেওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিতও মিলল কেভিন রবার্টসের কথায়।
“ এখনকার বিশ্বে নিশ্চিত বলে কোনো কিছু নেই। তাই ১০-এ ১০ আমি বলতে পারছি না। এটুকু বলতে পারছি, ভারতের সফরে আসার সম্ভাবনা ১০-এ ৯। দর্শক থাকবে কিনা, সেটি অবশ্য এখনও দোলাচলে আছে। তবে ভারতের সফর না হলে আমি বিস্মিত হব। শুরু থেকে দর্শকদের পুরোপুরি রাখতে পারব কিনা, সেটি নিশ্চিত বলতে পারছি না। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগেই অস্ট্রেলিয়া দলকে দেখা যেতে পারে মাঠে। জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরে তাদের ওয়ানডে সিরিজটি স্থগিত হয়েছে আগেই। সেটি এখন হতে পারে সেপ্টেম্বরে। তার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইংল্যান্ড। তাই অস্ট্রেলিয়া খেলতে যেতে পারে সেখানে, বলছেন রবার্টস।
“ খানিকটা সম্ভাবনা আছে, আমরা দল পাঠাতে পারি। অবশ্যই ক্রিকেটারদের কোনোরকম ঝুঁকিতে ফেলব না আমরা। তবে আমাদের সফরের আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের সফর আছে সেখানে, তখনই বড় পরীক্ষা হবে। আশা করি, এই সিরিজগুলি ঝামেলা ছাড়াই শেষ হবে।”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অবশ্য পিছিয়ে যাওয়া এখন অনেকটাই নিশ্চিত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এই মাসের শেষ দিকে আইসিসির সভায় সেটি নিয়ে আরও আলোচনা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই টুর্নামেন্ট এক বছর পিছিয়ে যেতে পারে।
নভেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্ট হওয়ার কথা অস্ট্রেলিয়ার। অগাস্টে হওয়ার কথা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ। এসবের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত।