বোলারদের সুবিধার্থে সম্প্রতি পিচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে ২০ গজ করার অদ্ভুত পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা। এবার বলের দুই পাশের ভারে পার্থক্য রাখতে বললেন ওয়ার্ন। তাতে ম্যাচের পুরো সময়ই বোলাররা সুইং পাবে বলে মনে করেন তিনি।
করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে লালা বা ঘামের পরিবর্তে কৃত্রিম বস্তু ব্যবহার করার কথা ভাবছে আইসিসি। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বল নির্মাতা কোম্পানি কোকাবুরা জানিয়েছে, তারা বল উজ্জ্বল রাখার বস্তু তৈরি করছে।
তবে লালার পরিবর্তে বলে কৃত্রিম বস্তু ব্যবহারের পন্থা কতটুকু সুবিধা দিবে, বুঝতে পারছেন না ওয়ার্ন। তার মতে, সব সময় সুইংয়ের জন্য একপাশ ভারী বল তৈরি করলেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
“সবসময় সুইং পাওয়ার জন্য বলের একপাশ কেন ভারী হতে পারে না? এটা হবে টেপ পেঁচানো টেনিস বলের মত, অথবা লন বোলসের মত।”
“ওয়াসিম (আকরাম) ও ওয়াকার (ইউনুস) যেমন ভয়ঙ্কর সুইং করাত, তেমন দেখতে চান কি-না, আমি নিশ্চিত নই। তবে এতে বল সুইং করবে এবং ফ্ল্যাট উইকেটেও পেসাররা কিছু সহায়তা পাবে, যখন খুব গরম ও পিচ অনেক বেশি ফ্ল্যাট হয়ে যায় দ্বিতীয়, তৃতীয় দিনে।”
রিভার্স সুইং পেতে বল ঘষে একপাশ ভারী রাখার চেষ্টা চলে সব সময়। ফলে ঘটে বল টেম্পারিংয়ের মত বাজে কাণ্ড। তার পরামর্শ মানলে সেই দুশ্চিন্তা থাকবে না বলে স্টার স্পোর্টসের একটি আয়োজনে জানিয়েছেন ওয়ার্ন।
“সামনে এগিয়ে যাওয়ার এটা ভালো একটা উপায়, যেহেতু বলে কারোর কিছু করার প্রয়োজন নেই। বোতলের ছিপি, স্যান্ডপেপার কিংবা অন্য কিছু দিয়ে বল টেম্পারিং হতে পারে, এ নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না। এতে ব্যাট-বলের দারুণ লড়াই দেখা যেতে পারে।”
ব্যাটের আকার পরিবর্তনের উদাহরণ তুলে ধরে ওয়ার্ন জানান, সত্তর-আশির দশকের তুলনায় বর্তমানের ব্যাট অনেক মোটা। ফলে এর কানায় লেগেও বাউন্ডারি পায় ব্যাটসম্যানরা। তাহলে বোলারদের জন্য বলের ক্ষেত্রে পরিবর্তন নয় কেন, প্রশ্ন রেখেছেন এই কিংবদন্তি।
“ব্যাটগুলো কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে দেখুন। আশির দশকে যে ব্যাট দিয়ে খেলা হয়েছিল এবং এখনকার সময়ের ব্যাট মিলালে দেখা যায় সেই সময়ের চারটা ব্যাটের সমান এখনকার একটা, কিন্তু জিনিসটা হালকা। তাহলে বল কেন বিবর্তিত হবে না? যদি অন্যকিছু করা হয়, এটা আরও খারাপ হবে।”