নায়কদের নায়ক: ক্লার্ককে মুগ্ধ হয়ে দেখতেন লিটন

স্টান্স থেকে শুরু করে ব্যাটিংয়ের সবকিছু, মাঠে পদচারণা, পোশাক ও নিজেকে উপস্থাপনার ধরণ, সব মিলিয়ে মাইকেল ক্লার্ক যেন স্টাইলের দুর্দান্ত প্যাকেজ। সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের সবকিছুই দারুণ লাগত লিটন কুমার দাসের। ছেলেবেলায় চেষ্টা করতেন ক্লার্কের মতো শট খেলতে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2020, 09:39 AM
Updated : 29 April 2020, 09:39 AM

বাংলাদেশ ক্রিকেটের যারা এই সময়ের নায়ক, বেড়ে ওঠার দিনগুলিতে কেউ না কেউ তাদের কাছেও ছিল নায়ক। তাদের নিয়েই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিয়মিত আয়োজন ‘নায়কদের নায়ক।’ লিটন দাসের শৈশবের নায়ক ছিলেন ক্লার্ক।

লিটনের পরিচয় তো শুধু ব্যাটসম্যানই নয়, উইকেটের পেছনেও দাঁড়ান তিনি গ্লাভস হাতে। ছেলেবেলায় তার ভালো লাগত মার্ক বাউচার ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কিপিং।

বাংলাদেশের প্রতিভাবান ও স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যান শোনালেন তার নায়কদের কথা।

‘অসাধারণ লাগত ক্লার্ককে’

“আক্ষরিক অর্থে নায়ক বলতে যা বোঝায়, তেমন কেউ আমার ছিল না। অনেকেরই থাকে, কারও মতো হতে চায় বা অনুসরণ করে। আমি সেভাবে কখনও কারও মতো হতে চাইনি। তবে ভালো লাগা ছিল অনেকের জন্যই। সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ হতাম মাইকেল ক্লার্ককে দেখে।”

“ক্লার্কের সবকিছুই ভালো লাগত। অদ্ভূতভাবে, আমার সবচেয়ে ভালো লাগত তার ব্যাটিং স্টান্স। উইকেটে গিয়ে যখন দাঁড়াতেন, কেবল তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছে হতো।”

“তারপর তার ব্যাটিং তো আছেই। ড্রাইভ বা ফ্লিক, সবকিছুই ভালো ছিল। দেখার জন্য তো সবসময়ই দারুণ ছিল তার ব্যাটিং। কিছু কিছু শট দেখে মনে হতো, এরকম যদি ব্যাটিং করতে পারতাম! তার ইতিবাচক মানসিকতাও খুব ভালো লাগত। পাশাপাশি তার ড্রেস আপ, মাঠে হাঁটাচলা, যেভাবে কথা বলতেন, দেহভঙ্গিমা আর মনোভাব, সবই খুব ভালো লাগত। মনের ভেতর থেকেই একটা ভালো লাগা কাজ করত।”

“ক্লার্ককে পছন্দ করতাম বলেই আমার ব্যাটিং স্টাইলিশ, তা অবশ্যই নয়। আমি আসলে কখনও এটা নিয়ে ভাবিওনি। অটোমেটিকই হয়ে গেছে। বিকেএসপিতে ছিলাম, বেসিক নিয়ে অনেক কাজ করেছি। যাদের বেসিক ভালো, তাদের ব্যাটিং এমনিতেও দেখতে ভালো লাগে। আমার সেদিক থেকে সৌভাগ্য বলা যায়।”

“শচিন টেন্ডুলকারকেও পছন্দ করতাম। আসলে তার মত ব্যাটসম্যানকে সবারই পছন্দ করার কথা। টিভিতে ভারতের খেলা বেশি দেখাত, এজন্য টেন্ডুলকার ও বিরেন্দর শেবাগের ব্যাটিংই বেশি দেখা হতো। অনেক সময় এমন হয়েছে, টেন্ডুলকার আউট হওয়ার পর খেলা দেখা বাদ দিয়ে উঠে গেছি।”

“গত বছর ভারত সফরে গিয়ে টেন্ডুলকারকে দেখলাম সামনাসামনি। অন্যরকম একটা অনুভূতি হলো। সবসময় টিভিতেই দেখেছি, এখন চোখের সামনে! ইচ্ছে ছিল তার সঙ্গে ছবি তোলার। কিন্তু আমি তো ব্যাটিংয়ের সময় আঘাত পেয়ে বাইরে ছিটকে গেলাম। একরকম বন্দি থাকতে হলো। ছবি তোলার সুযোগ আর হলো না।”

“কিপিংয়ের কথা বললে, মার্ক বাউচার ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে ভালো লাগত খুব। বাউচারের টেকনিক, গেদারিং এসব দেখতাম। ম্যাককালামের রিফ্লেক্স ও প্রাণশক্তি ছিল দুর্দান্ত।”

“কখনও মনে হয়নি, তাদের মতো হতে হবে বা হতে চাই। সবসময় নিজের মতোই হতে চেয়েছি। তবে তাদেরকে পছন্দ করতাম অনেক।”