অশ্বিনের লড়াই নিজের সঙ্গেই

গত কয়েক বছর ধরে টেস্টে ভারতের সেরা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দেশের মাটিতে তাকে ছাড়া টেস্ট খেলার কথা ভাবতেই পারে না ভারত। কিন্তু বিদেশে, বিশেষ করে উপমহাদেশের বাইরে খেলা হলে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। তখন একাদশে জায়গা পেতে সংগ্রাম করতে হয় অশ্বিনকে। প্রতিপক্ষ, কন্ডিশন অনেক কিছুর সঙ্গেই লড়াই করতে হয়। তবে দিন শেষে এই অফ স্পিনারের কাছে আসল লড়াইটা নিজের সঙ্গেই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2020, 01:23 PM
Updated : 27 April 2020, 01:23 PM

উপমহাদেশের বাইরে এখন পর্যন্ত অশ্বিন টেস্ট সিরিজ খেলেছেন নয়টি। এর মধ্যে একবার কেবল খেলতে পেরেছেন সিরিজের সব ম্যাচে। কখনো চোটের কারণে, আবার কখনো টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে থাকতে হয়েছে একাদশের বাইরে।

ভারতের সবশেষ সফরই যেমন। নিউ জিল্যান্ড সফরে ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টে খেলেন অশ্বিন। দ্বিতীয় টেস্টে তিনি একাদশে জায়গা হারান রবীন্দ্র জাদেজার কাছে। ব্যাটিং সামর্থ্যে এগিয়ে থাকায় বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার জাদেজাকে নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট।

উপমহাদেশের বাইরে সুযোগ ধারাবাহিকভাবে না এলেও সাফল্য বেড়েছে বলেই মনে করেন অশ্বিন। বিশেষ করে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে জোহানেসবার্গ টেস্টে ৪২ ওভারে উইকেটশূন্য থাকার পর থেকে। একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমনটাই বললেন অশ্বিন।

“দেখুন, একটি ব্যাপার নিশ্চিত, আমি আসলে আমার মানদণ্ডের সঙ্গে অনেকভাবে লড়াই করছি।”

২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সিরিজের সবগুলো টেস্টেই খেলেন অশ্বিন। এরপর থেকে উপমহাদেশের বাইরে তার সাফল্য তুলনামূলক ভালো। এই সময়ে ১২ টেস্টে ২৭.৬৫ গড়ে নিয়েছেন ৪৪ উইকেট। এর মধ্যে আটটি টেস্ট ছিল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউ জিল্যান্ডে। যেখানে ৩০.৪৮ গড়ে তার উইকেট ২৭টি।

২০১৬ সালের আগে উপমহাদেশের বাইরে ৯ টেস্ট খেলে ৫৬.৫৮ গড়ে নেন ২৪ উইকেট।

২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকে শুধু এক সংস্করণের খেলোয়াড় হয়ে গেছেন অশ্বিন। ওই বছর তিনি ইংলিশ কাউন্টিতে খেলেছিলেন। সে সময়ের একটি উপলব্ধির কথাও শোনালেন।

“কোনো স্পিনারের বিদেশের কন্ডিশনে বোলিং করতে এবং দেশের মাটির সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে হলে ম্যাচের সম্ভাব্য সঠিক সবসময়েই বোলিং করা দরকার। এটা প্রথম ব্যাপার। দ্বিতীয়ত, কিছুটা ভাগ্যও লাগে। ২০১৪ সালে (২০১৩ সালের ডিসেম্বরে) দক্ষিণ আফ্রিকার ওই ম্যাচের পর থেকে আমি আমার সাফল্যগুলো দেখেছি এবং সেগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।”