এবারের পিএসএলের শেষ ম্যাচ হয় গত ১৫ মার্চ। করাচি কিংস ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের মধ্যে সেই ম্যাচে ছিলেন না হেলস। কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে আগের দিন দেশে ফিরে যান তিনি।
দেশে ফিরে ১৪ দিনের স্বেচ্ছা-আইসোলেশনে ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সে সময় শারীরিকভাবে ভালো অনুভব করছিলেন না হেলস। তাই সতর্ক করতে চেয়েছিলেন দলের সবাইকে।
করাচি কিংসের মালিক সালমান ইকবালকে এক ক্ষুদে বার্তায় হেলস জানান, তার মাঝে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যাওয়ার বিষয়টি। এতেই যেন আতঙ্কের বোমা ফাটে পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ক্রিকেটারদের মাঝে।
বিবিসির একটি আয়োজনে করাচি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক সালমান জানান, ওই বার্তায় বেশ ভয় পেয়েছিলেন তারা সবাই।
“আমরা সবাই ভয় পেয়ে যাই। কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে আলাদা হয়ে যেতে হবে। বার্মিংহ্যামে হেলসের পরীক্ষা করানোর জন্য আমি চেষ্টা করছিলাম। এমনকি আমি আমার ডাক্তারকে ফোন করেছিলাম, লন্ডন থেকে ওখানে যেতে পারবে কি-না। তবে সেটা সম্ভব হয়নি।”
“শেষে আমাদের দলের সবার পরীক্ষা করাতে হয়েছিল। সবাই অস্থির হয়ে পড়েছিল এবং পরের দিনই টুর্নামেন্ট স্থগিত করে দেওয়া হয়।”
বিদেশি ক্রিকেটারের মাঝে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেছে, এমন সংবাদ নিমিষেই ছড়িয়ে পড়েছিল গণমাধ্যমে। শেষ পর্যন্ত গত ১৭ মার্চ পিএসএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।