সবশেষ আসরে ২০১৬ সালে ভারতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ড্যারেন স্যামির ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানরা প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল ২০১২ সালে।
গত চার বছরে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের অনেক কিছুই অবশ্য বদলে গেছে। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থান এখন ১০ নম্বরে। স্থানীয় এক রেডিওকে হার্পার জানালেন, বাস্তবতার জমিনে পা রাখছেন তিনি।
“আপনাকে বাস্তববাদী হতে হবে। হ্যাঁ, আমরা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, তবে আমরা র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের এক নম্বর দল নই। বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে কী ঘটেছে, এর প্রমাণ এটিই।”
গত সেপ্টেম্বরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব দেওয়া হয় অলরাউন্ডার কাইরন পোলার্ডকে। সম্প্রতি অবসর ভেঙে ফিরেছেন আরেক অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো। হার্পার মনে করেন, গত বিশ্বকাপের দলটা অনেক বেশি অভিজ্ঞ ছিল।
“তখন র্যাঙ্কিংয়ে আমরা কত নম্বরে ছিলাম, তা মনে পড়ছে না। তবে বিশ্বকাপের জন্য আমরা যে দল দিয়েছিলাম, সেখানে অনেক অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ ছিল। এখন কেবল কয়েকজন অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় আছে। বেশ কিছু তরুণ দলে এসেছে।”
র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান যা-ই হোক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ জয়ের ভালো সম্ভাবনা কাছে বলেই মনে করেন প্রধান নির্বাচক।
“আমি এখনও মনে করি, টুর্নামেন্ট জেতার ভালো সুযোগ আছে আমাদের। তবে আমরা টুর্নামেন্টের ফেভারিট, তা অন্তত আমি মনে করি না।”
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। আইসিসি ও টুর্নামেন্টের আয়োজকরা অবশ্য এখনও আশাবাদী।