২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বল টেম্পারিং কাণ্ডে জড়িয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্মিথ। আর নেতৃত্বে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন দুই বছর। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৩৫ বছর বয়সী পেইন।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত অ্যাশেজে ২২ গজে ফেরেন স্মিথ। আর গত রোববার শেষ হয়েছে তার নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা। ৩০ বছর বয়সী এই তারকা ব্যাটসম্যান এবার নেতৃত্বে ফিরলে খুশিই হবেন পেইন।
“আইপিএলে সে রাজস্থান রয়্যালস ও দা হান্ড্রেডে ওয়েলস ফায়ার দলের অধিনায়ক; এটা এমন কিছু যা সে করতে ভালোবাসে।”
“যদি স্টিভ স্মিথ সিদ্ধান্ত নেয় যে এই পথে (অধিনায়ক) সে যেতে চায়, আমি তাকে আবারও এ কাজ করতে পুরোপুরি সমর্থন দেব।”
২০১৮ সালের মার্চে পেইন অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়া টেস্টে ১০ জয়ের বিপরীতে হেরেছে ছয়টি, একটি ড্র। নিজেদের মাঠে পাকিস্তানকে ২-০ ও নিউ জিল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে তারা।
স্মিথ নেতৃত্বের স্বাদ প্রথম পেয়েছিলেন ২০১৪ সালে, বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির ব্রিজবেন টেস্টে। তার সুযোগটি এসেছিল সেই সময়ের অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের হ্যামস্ট্রিং চোটে। প্রথম টেস্টের পর ক্লার্ক ছিটকে পড়ায় বাকি তিন টেস্টে নেতৃত্ব দেন স্মিথ।
তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ৩৪টি টেস্ট খেলে ১৮টিতে জয়ের স্বাদ পায়, ১০টি হারের সঙ্গে ছিল ৬টি ড্র। ৫১ ওয়ানডেতে ২৫টি জয়, ২৩ হার। ৮ টি-টোয়েন্টিতে ৪টি করে জয়-পরাজয়।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরার সিরিজে দুর্দান্ত ছিলেন স্মিথ। গত বছরের সেই অ্যাশেজে ১১০.৫৭ গড়ে ৭৭৪ রান করে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকসের সঙ্গে যুগ্মভাবে হন প্লেয়ার অব দা সিরিজ।