২০০৯ সালের অগাস্টে জিম্বাবুয়ে সফরে ১৩৮ বলে ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের সেই রেকর্ড টিকে ছিল প্রায় ১১ বছর। অবশেষে মঙ্গলবার সিলেটে তামিমই ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই খেলেছেন ১৩৬ বলে ১৫৮ রানের ইনিংস।
এবারের ইনিংসটি এসেছে তামিমের ২৩ ম্যাচের সেঞ্চুরি খরার পর। চারপাশের সমালোচনায় চাপে ছিলেন প্রবল। সেদিক থেকে এই ইনিংস তার হৃদয়ে আলাদা জায়গা নিয়ে থাকার কথা। তামিমের কাছে তবু এগিয়ে সেই ১৫৪ রানই।
বুধবার সিলেটে টিম হোটেলে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বললেন, তিনশর বেশি রান তাড়ার চাপই সেই ইনিংসকে করে তুলেছে বিশেষ।
“অবশ্যই ২০০৯ সালের ইনিংস (এগিয়ে)। কারণ, আমার কাছে মনে হয় ওটায় প্রথমবার আমরা তিনশর বেশি রান তাড়ায় জিতেছিলাম। এখন তিনশ রান যত সহজে লোকে দেখে, ওই সময় কিন্তু ততটা সহজ ছিল না। ওই সময়ের ৩০০ রান এখনকার ৪০০ রান।”
“তো সেই সময়টায় আমরা যে ৩০০ রান তাড়া করতে পারব, এই বিশ্বাসটাই হয়তোবা আমাদের খুব বেশি মানুষের ছিল না। আমারও ছিল না। কিন্তু যেভাবে আমরা ইনিংস গড়ে তুলেছিলাম ওই ম্যাচে, অবশ্যই ওই ইনিংসকে আমি কালকের তুলনায় এগিয়ে রাখব।”
বুলাওয়েয়োতে সেই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে করেছিল ৫০ ওভারে ৩১২ রান। চার্লস কভেন্ট্রি স্পর্শ করেছিলেন ওয়ানডেতে তখনকার সর্বোচ্চ ইনিংসের বিশ্বরেকর্ড, ১৯৪ রানের ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের ওপেনার ছুঁয়েছিলেন সাঈদ আনোয়ারকে।
রান তাড়ায় তামিমের ১৫৪ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয় জয়ের পথে। বাংলাদেশ ৪ উইকেটের জয় পেয়েছিল ১৩ বল বাকি রেখে।