রাজ্জাকের ৭ উইকেট, আবার ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহ

এক পাশ থেকে যন্ত্রের মতো বোলিং করে পূর্বাঞ্চলের ব্যাটিংয়ে ধস নামালেন আব্দুর রাজ্জাক। ৭ উইকেট নিয়ে অভিজ্ঞ স্পিনার দলকে এনে দিলেন বড় লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য ধুঁকছে রাজ্জাকের দল দক্ষিণাঞ্চল। তবে প্রথম ইনিংসের সৌজন্যেই এগিয়ে তারা অনেকটা। নাটকীয় এই দিনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পাননি মাহমুদউল্লাহ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2020, 12:30 PM
Updated : 24 Feb 2020, 01:47 PM

বিসিএলের ফাইনালে চট্টগ্রামে সোমবার প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রানের গুটিয়ে গেছে পূর্বাঞ্চল। রাজ্জাক নিয়েছেন ১০২ রানে ৭ উইকেট।

ফলো অন না করিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধে করতে পারেনি দক্ষিণাঞ্চল। তৃতীয় তিন শেষ করেছে তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ১২৫ রান তুলে। প্রথম ইনিংসের ২১৩ রানের লিড মিলিয়ে এগিয়ে তারা এখন ৩৩৮ রানে।

প্রথম ইনিংসে ১ রানে আউট হওয়া মাহমুদউল্লাহ দ্বিতীয় ইনিংসে তিনে নেমে শুরু করেছিলেন আগ্রাসী। কিন্তু থেমে গেছেন ১১ বলে ১৭ করেই। টেস্ট দলে তার শিগগিরই ফেরার সম্ভাবনা তাতে ফিকে হয়ে গেল আরও।

৩ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল পূর্বাঞ্চল। তাদের মিডল অর্ডারে নজর কেড়েছেন তানজিদ হাসান। লড়াইয়ের চেষ্টা করেছেন আফিফ হোসেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বড় কিছু করতে পারেননি তারা রাজ্জাকের স্পিনের সামনে।

মাহমুদুল হাসানের উইকেট নিয়ে শিকার শুরু করেন রাজ্জাক। চতুর্থ উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তানজিদ ও আফিফ। রাজ্জাক ফেরান এই দুজনকেও।

৯৮ বলে ৪৭ করে এনামুলের হাতে ধরা পড়েন আফিফ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে ৭ চারও ২ ছক্কায় ৮৭ বলে ৮২ রানের ইনিংস এসেছে তানজিদের ব্যাট থেকে।

বাংলাদেশ যুব দলের হয়ে সম্প্রতি বিশ্বকাপ জিতে আসা তানজিদ গত বছর লিস্ট ‘এ’ ও টি-টোয়েন্টি অভিষেকেও করেছিলেন ফিফটি।

এরপর লোয়ার অর্ডারে দাঁড়াতে পারেননি আর কেউ। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৪১তম বার ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন রাজ্জাক।

বড় লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটসম্যানদের শুরু থেকে চেপে ধরেন পূর্বাঞ্চলের তিন পেসার আবু হায়দার, হাসান মাহমুদ ও রুয়েল মিয়া। উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত। প্রথম ৭ ব্যাটসম্যানের কেউ যেতে পারেনি ২০ পর্যন্ত।

আটে নেমে মেহেদি হাসানের অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস দক্ষিণাঞ্চলকে এগিয়ে নেয় কিছুটা। দলের লিড আরও বাড়ানোর আশা হয়ে টিকে আছেন এই অলরাউন্ডার।

খরুচে হলেও পূর্বাঞ্চলের বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার ৪ উইকেট নিয়েছেন ৫১ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৪৮৬

পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮৬.৩ ওভারে ২৭৩ (আগের দিন ১১০/৩) (মাহমুদুল ৩৩, আফিফ ৪৭, তানজিদ ৮২, জাকির ১০, আবু হায়দার ২, সাকলাইন ০, রুয়েল ৫, হাসান ৪*; শফিউল ১৯-১-৭২-২, আল আমিন ১৩-১-৩৮-০, রাজ্জাক ৩২.৩-৪-১০২-৭, মেহেদি ২২-৩-৩০-১)।

দক্ষিণাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৩০.১ ওভারে ১২৫/৮(মাহমুদ ১, এনামুল ১০, মাহমুদউল্লাহ ১৭, শামসুর ১৬, সোহান ৮, আল আমিন জুনিয়র ৮, ফরহাদ রেজা ৩, মেহেদি ৪১*, শফিউল ৫, রাজ্জাক ১*; হাসান ৮-২-২২-২, আবু হায়দার ১০-০-৫১-৪, রুয়েল ৫-০-২২-২, আশরাফুল ৪-০-৬-০, আফিফ ২-০-১০-০, সাকলাইন ১-১-০-০, মাহমুদুল ০.১-০-০-০)।