ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহ, এনামুল-মাহমুদের ব্যাটে রান

উইকেট ছিল সবুজাভ। শুরুর কঠিন সময় পেরিয়ে দক্ষিণাঞ্চলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিলেন দুই ওপেনার ফজলে মাহমুদ ও এনামুল হক। শেষ সেশনে দ্রুত কিছু উইকেট নিয়ে যদিও লড়াইয়ে ফিরেছে পূর্বাঞ্চল, তবে দক্ষিণাঞ্চলের রান ছাড়িয়ে গেছে তিনশ। দলের এমন দিনেও অবশ্য নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি টেস্ট দলে জায়গা হারানো মাহমুদউল্লাহ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2020, 12:36 PM
Updated : 22 Feb 2020, 12:54 PM

বিসিএলের ফাইনালের প্রথম দিনে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিনাঞ্চল করেছে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান।

চারবারের চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ফজলে মাহমুদ করেছেন ৮৬, এনামুল রান আউট হয়েছেন ৭৬ রানে।

তবে ব্যর্থতা পিছু ছাড়ছে না মাহমুদউল্লাহর। ফর্মে না থাকায় তাকে বিশ্রামের মোড়কে বাদ দেওয়া হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট থেকে। বিসিএলে খেলতে নেমেও খুঁজে পেলেন না নিজেকে। আউট হন মাত্র ১ রান করে। বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে অবশ্য অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

সবুজ উইকেটে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল দক্ষিণাঞ্চল। ফজলে মাহমুদ ও এনামুলের দৃঢ়তায় তারা উতরে যায় শুরুর চ্যালেঞ্জ।

তাদের সাবধানী ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনে পড়েনি কোনো উইকেট। লাঞ্চের আগেই এনামুল স্পর্শ করেন ফিফটি, ৯০ বলে।

লাঞ্চের পরও এই জুটি খেলেছে অনেকটা সময়। ফজলে মাহমুদ ফিফটি ছুঁয়েছেন ১০৮ বল খেলে।

শেষ পর্যন্ত ১৩৬ রানের জুটি ভেঙেছে রান আউটে। পরিবর্তিত ফিল্ডার অমিত হাসানের ছোঁয়ায় ১৩১ বলে ৭৬ রান করে ফেরেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এনামুল।

ফজলে মাহমুদ এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু তিনিও হাতছাড়া করেন সুযোগ। বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজিবকে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড অনে ইমরুল কায়েসের হাতে।

আসরের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ফজলে মাহমুদের নামের পাশে তখন ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১৫৫ বলে ৮৬ রান।

এরপর থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করা আল আমিন জুনিয়র। বিদায় নিয়েছেন ৩৯ রানে।

মাহমুদউল্লাহর ইনিংস থেমেছে ৪ বলেই। বাঁহাতি পেসার আবু হায়দারের ফুল লেংথে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বল কাভার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন।  ব্যাটের কানা ছুঁয়ে পেছনে যাওয়া বলটি ডানপাশে ঝাঁপিয়ে লুফে নেন কিপার জাকির হাসান।

নুরুল হাসান সোহান ফেরেন উড়িয়ে মারতে গিয়ে। পাল্টা আক্রমণ করতে চেয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মেহেদী হাসানও। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ বলে ৩৬ বিদায় নিয়েছেন আফিফ হোসেনের অফ স্পিনে।

শেষ সেশনে ৪ উইকেট নিযেছে পূর্বাঞ্চল। তবে দক্ষিণাঞ্চলের ভরসা হয়ে উইকেটে টিকে আছেন শামসুর রহমান।

পূর্বাঞ্চলের বাঁহাতি পেসার রুয়েল মিয়া নিয়েছেন দুটি উইকেট। টেস্ট দল থেকে ছাড়া পেয়ে এই ম্যাচ খেলতে নামা পেসার হাসান মাহমুদ রাখতে পারেননি কোনো প্রভাব।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংসঃ ৮৮ ওভারে ৩০৫/৬ (ফজলে মাহমুদ ৮৫, এনামুল ৭৬, আল আমিন ৩৯, শামসুর ৩৭*, মাহমুদউল্লাহ ১, সোহান ১৮, মেহেদি ৩৬, ফরহাদ রেজা ৮*; রুয়েল ১৫-৩-৫৮-২, আবু হায়দার ১৭-২-৪১-১, হাসান ১৩-১-৪৬-০, মাহমুদুল ২১-১-৯৪-১, সাকলাইন ১৭-৪-৫১-১, আফিফ ৫-১-১৩-১)।