বিসিএলের ফাইনাল গোলাপি বলে খেলার প্রস্তাব

প্রায় কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতির অভাব সেই ম্যাচে ফুটে উঠেছে প্রকটভাবে। আগামী দিনগুলোতে গোলাপি বলে আরও ম্যাচ খেলতে হতে পারে। এই ভাবনা থেকে বিসিএলের ফাইনাল দিবা-রাত্রির করার একটি প্রস্তাব এসেছে। দাবি উঠেছে ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2020, 12:58 PM
Updated : 23 Jan 2020, 02:57 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির সভা শেষে খালেদ মাহমুদ জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারি শুরু হবে বিসিএলের অষ্টম আসর।

মধ্যাঞ্চল ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান সমন্বয়ক ও ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম জানান, ফাইনাল টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের দাবি তুলেছেন সভায়।

“তারা চেষ্টা করছেন যে, এবারের বিসিএলের ফাইনাল ম্যাচ টিভিতে দেখানো যায় কী না। আরেকটা প্রস্তাব এসেছে যে, ফাইনালটা গোলাপি বলে হতে পারে কী না, মানে দিবা-রাত্রির। এটার ব্যাপারে ক্রিকেটারদের জিজ্ঞেস করবে, যদি ওদের কোনো আপত্তি না থাকে, তাহলে হয়তো দিবা-রাত্রির ম্যাচ হতে পারে, গোলাপি বলে হতে পারে ফাইনালটা।”

এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমের বিসিএলের ফাইনাল হয়েছিল গোলাপি বলে। সেটিই বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একমাত্র দিবা-রাত্রির বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ।

ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রথম শ্রেণির এই টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছে সর্বোচ্চ চারবার জয়ী দক্ষিণাঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রাইম ব্যাংক। বিসিবি পরিচালক মাহমুদ জানান, নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি না পেলে উত্তরাঞ্চলের মতো দক্ষিণাঞ্চল দলও চালাবে বিসিবি।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জায়গায় কেন বিসিএল শুরুর সিদ্ধান্ত এলো এর ব্যাখ্যা দিলেন মাহমুদ।

“পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্টের মাঝে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও একটি টেস্ট ম্যাচ আছে। সময়ের একটি ব্যাপারও এবার থাকছে, একই সঙ্গে আবহাওয়ার ব্যাপার আছে। সবকিছু চিন্তা করে আমরা বিসিএল এই সময়টায় খেলা আদর্শ হবে বলে মনে করেছি।”

“প্রিমিয়ার লিগ আমরা হ্যাম্পার করতে চাই না। আমি মনে করি যে, পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে ছেলেরা একটি (প্রথম শ্রেণির) ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। এতে ওদের ভালো একটি প্রস্তুতি হবে।”

জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা প্রায়ই প্রথম শ্রেণির ম্যাচে খেলার সুযোগ পান না। টেস্ট ক্রিকেটের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতে হয় টেস্ট খেলেই। এবারও হয়তো সেই পথেই হাঁটতে হবে তাদের। ভারত সফরে দুই টেস্টে যে ভুলগুলো করেছিল মুমিনুল হকের দল, সেগুলো নিয়ে কাজ করতে স্রেফ একটি-দুটি ম্যাচ পেতে পারেন তারা। মাহমুদ অবশ্য জানালেন, প্রথম শ্রেণির ম্যাচে জাতীয় দলের সব খেলোয়াড়কেই খেলার সুযোগ করে দিতে চান তারা।

“অবশ্যই আমরা চাই যে বিসিএল টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের সব ক্রিকেটার খেলুক কিংবা অংশ নিক এবং টুর্নামেন্টের আকর্ষণ বাড়ুক। সেই উদ্দেশ্যেই এটা করা। এটা হয়তো কোনো সময় হয়, আবার কোনো সময় হয় না।”

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের আরেক টুর্নামেন্ট জাতীয় ক্রিকেট লিগে এরই মধ্যে বেড়েছে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি। বিসিএলে ম্যাচ ফি বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

“আমরা এই বিষয়ে কথা বলেছি ওনাদের সঙ্গে। আশা করছি কিছু হলেও বাড়বে।”