সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে ১০৭ রানে জিতে চার ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ফাফ দু প্লেসির দল।
চতুর্থ দিন ইংলিশদের ইনিংস গুটিয়ে গেছে দুই সেশনে। ১ উইকেটে ১২১ রান নিয়ে দিন শুরু করে জো রুটের দল থেমেছে ২৬৮ রানে।
নতুন কোচ মার্ক বাউচারসহ কোচিং স্টাফ ও পরিচালনা পরিষদে এক ঝাঁক সাবেক তারকা খেলোয়াড়দের হাত ধরে জয় দিয়ে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করল ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা।
টানা পাঁচ টেস্টে হারের পর জয়ের স্বাদ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে, বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড গত মাসে নিউ জিল্যান্ড সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হেরেছিল ১-০ ব্যবধানে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরও শুরু করল পরাজয় দিয়ে।
আগের দিন শেষ বেলার ব্যাটিংয়ে সেই কঠিন কাজটাই করে ফেলার আশা জাগিয়েছিল সফরকারীরা। তবে রাবাদা ও নরকিয়ার বোলিংয়ে দিক হারায় তারা। পরে উইকেট শিকারে যোগ দেন স্পিনার কেশভ মহারাজও।
লাঞ্চের আগে ইংল্যান্ড হারায় দুই উইকেট। ৭৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা ররি বার্নসকে সাত সকালেই ফিরিয়ে দেন নরকিয়া। আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান জো ডেনলিও ফিরেন দ্রুত।
তাদের পর লম্বা সময় ক্রিজে থাকতে পারেন কেবল অধিনায়ক রুট। চতুর্থ উইকেটে বেন স্টোকসের সঙ্গে গড়েন ৪৬ রানের জুটি। মহারাজের বলে স্টোকস বোল্ট হওয়ার পর আর কেউ তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
এরপর বল হাতে আগুন ঝরান রাবাদা। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়ার পর এবার নেন ১০৩ রানে ৪টি। ৫৬ রানে ৩টি নেন নরকিয়া।
উইকেটের সামনে-পেছনে নিজেকে মেলে ধরা কুইন্টন ডি কক জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
আগামী শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে কেপ টাউনে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২৮৪
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৮১
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৬১.৪ ওভারে ২৭২
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৯৩ ওভারে ২৬৮ (আগের দিন ১২১/১) (বার্নস ৮৪, ডেনলি ৩১, রুট ৪৮, স্টোকস ১৪, বেয়ারস্টো ৯, বাটলার ২২, কারান ৯, আর্চার ৪, ব্রড ৬, অ্যান্ডারসন ০*; রাবাদা ২৪-৩-১০৩-৪, ফিল্যান্ডার ২০-৮-৩৫-০, নরকিয়া ১৭-৪-৫৬-৩, প্রিটোরিয়াস ১৬-৬-২৬-১, মহারাজ ১৬-৩-৩৭-২)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: কুইন্টন ডি কক
সিরিজ: চার ম্যাচ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ১-০তে এগিয়ে