সেরা দশে জায়গা করে নিতে কেবল ১১ টেস্ট লেগেছিল লাবুশেনের। পরের টেস্ট খেলেই উঠে গেলেন শীর্ষ পাঁচে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত পার্থ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে লাবুশেন করেছিলেন ৫০।
ক্যারিয়ারের প্রথম ১৫ ইনিংসে লাবুশেনের ছিল না কোনো সেঞ্চুরি। পরের তিন ইনিংসে তিন অঙ্কের স্বাদ পেয়েছেন তিনবার।
চলতি বছর টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানও এখন পর্যন্ত লাবুশেনের। ১০ টেস্টের ১৫ ইনিংসে করেছেন ১ হাজার ২২ রান। ৩ সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি ৬টি। তালিকার দুইয়ে থাকা স্টিভ স্মিথ করেছেন ৮৭৩ রান।
ব্যাটিংয়ের সেরা চারে কোনো পরিবর্তন নেই। ৯২৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্মিথের রেটিং পয়েন্ট কমেছে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় রানের দেখা না পাওয়ায় হারিয়েছেন ১২ রেটিং পয়েন্ট। ৯১১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা স্মিথের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন কেন উইলিয়ামসন (৮৬৪)।
সেরা দশে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন দারুণ ছন্দে থাকা বাবর আজম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংসে খেলে ত্রয়োদশ স্থান থেকে নয়ে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তান ক্রিকেটের সময়ের সেরা তারকা বাবর। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে তিনি শীর্ষে, ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে আছেন দুইয়ে।
পার্থে ৯৭ রানে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হওয়া মিচেল স্টার্ক বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ছুঁয়েছেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা পঞ্চম স্থান। অর্জন করেছেন ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট।
আগের ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট ৮০৫ ছাড়িয়ে এখন তার রেটিং পয়েন্ট ৮৪০। ২০১৮ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার।
ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছেন নিউ জিল্যান্ডের নিল ওয়েগনারও। পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি পেসারের রেটিং পয়েন্ট এখন ৮৩৪। এক ধাপ এগিয়ে তিনি উঠে এসেছেন তিনে। পার্থ টেস্টে ৯ উইকেট নিয়ে কিউই পেসার টিম সাউদি ফিরেছেন সেরা দশে।
বোলারদের শীর্ষে আগের মতোই আছেন প্যাট কামিন্স, দুইয়ে কাগিসো রাবাদা।
অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা চারে পরিবর্তন নেই কোনো। তবে এক ধাপ এগিয়ে পাঁচে উঠেছেন মিচেল স্টার্ক।