রাসেল ও বোপারার পাশাপাশি রাজশাহীর স্কোয়াডে আছেন অভিজ্ঞ পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। আরেক পাকিস্তানি মোহাম্মদ নওয়াজ বাঁহাতি স্পিনের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও বেশ কার্যকর। দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে অলরাউন্ডার আছেন ফরহাদ রেজা, আফিফ হোসেন, নাহিদুল ইসলাম ও অলক কাপালী।
ব্যাটিং লাইন আপে টপ অর্ডারে আছে দ্রুত রান তোলার মতো ব্যাটসম্যান। পেস আক্রমণে বাংলাদেশের আবু জায়েদ চৌধুরি ও কামরুল ইসলাম রাব্বির সঙ্গে আছেন পাকিস্তানি মোহাম্মদ ইরফান। সব মিলিয়ে নিজের দল নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট রাজশাহী কোচ।
ওয়াইজ নিজেও একসময় খেলেছেন বিপিএলে। এবার কোচ হিসেবে শুরু করছেন নতুন অধ্যায়। নতুন চ্যালেঞ্জে সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান সাহস পাচ্ছেন স্কোয়াড দেখে।
তবে স্কোয়াড ভালো হওয়া মানেই যে ভালো ফলের নিশ্চয়তা নয়, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজশাহী কোচ। তাকিয়ে আছেন তিনি মাঠের পারফরম্যান্সের দিকে।
“এখনও কোনো ম্যাচ খেলিনি আমরা। দেখতে হবে, মাঠে কতটা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পারফর্ম করতে পারে দল। আশা করি, আগামী দুই-তিন দিনে আমরা গুছিয়ে নিতে পারব এবং টুর্নামেন্টের আসল সময়ে জ্বলে উঠতে পারব।”
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে এবার বড় কোনো চমক দেখাতে না পারলেও রাজশাহী পরে চমকে দিয়েছে রাসেল ও মালিককে দলে নিয়ে। দলটির সবচেয়ে বড় স্বস্তির জায়গা, রাসেল-মালিকসহ তাদের ৬ বিদেশি ক্রিকেটারই পুরো টুর্নামেন্টের জন্য চুক্তিবদ্ধ। তাই নিজেদের মধ্যে রসায়ন জমিয়ে তোলার সুযোগ তাদের থাকছে যথেষ্টই।
এবারের আসরে রাজশাহীর প্রথম ম্যাচ বৃহস্পতিবার, ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে।
রাজশাহী রয়্যালস স্কোয়াড:
দেশি: লিটন দাস, আফিফ হোসেন, আবু জায়েদ চৌধুরি, ফরহাদ রেজা, তাইজুল ইসলাম, অলক কাপালী, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ইরফান শুক্কুর, মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি, নাহিদুল ইসলাম।
বিদেশি: আন্দ্রে রাসেল, শোয়েব মালিক, হজরতউল্লাহ জাজাই, রবি বোপারা, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ইরফান।