প্রথম দিনে পাকিস্তানকে ২৪০ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। ৭২ রানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার ১৫১ ও মার্নাস লাবুশেন ৫৫ রানে অপরাজিত আছেন।
সকালে সাবধানী শুরুর পর বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও দলে ফেরা জো বার্নস। লাঞ্চের আগে ৭৮ বলে ফিফটিতে পৌঁছান ওয়ার্নার। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০০ রান তুলে প্রথম সেশন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই অভিষিক্ত নাসিম শাহের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েছিলেন ওয়ার্নার। তবে বেঁচে যান ১৬ বছর বয়সী পেসারের বলটি ‘নো’ হওয়ায়।
৯৯ রানে অপরাজিত থেকে চা বিরতিতে যাওয়া ওয়ার্নার সেঞ্চুরি তুলে নেন ১৮০ বলে। টেস্টে এটি তার ২২তম সেঞ্চুরি। গ্যাবায় পেলেন চতুর্থ সেঞ্চুরি। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম টেস্টে শতরানের দেখা পেলেন আক্রমণাত্মক এই ব্যাটসম্যান।
১৫১ রানের ইনিংসে ১০টি চার হাঁকানো ওয়ার্নার অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে অ্যাশেজের ১০ ইনিংসে ৯.৫ গড়ে করেছিলেন মোটে ৯৫ রান।
দলীয় ২২২ রানের মাথায় ভাঙে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি। ৯৭ রান করে ইয়াসিরের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান বার্নস। তার ১৬৬ বলের ইনিংসটি সাজানো ১০টি চারে।
বাকিটা সময়ে আর কোনো সাফল্য পায়নি পাকিস্তানের বোলাররা। দিনের দ্বিতীয় শেষ ওভারে পেসার ইমরান খানের বল স্টাম্প ছুঁয়ে গেলেও বেলস না পড়ায় আবারও জীবন পান ওয়ার্নার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৮৬.২ ওভারে ২৪০
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৮৭ ওভারে ৩১২/১ (ওয়ার্নার ১৫১*, বার্নস ৯৭, লাবুশেন ৫৫*; শাহিন শাহ ১৮-৫-৪৪-০, ইমরান ১২-১-৪৩-০, নাসিম ১৬-০-৬৫-০, ইফতিখার ৬-০-২৬-০, ইয়াসির ২৮-১-১০১-১, হারিস ৭-০-২৭-০)