হার না মানা মুশফিকের ভক্ত ভারতীয় নারী ক্রিকেটার

ব্যাটসম্যানশিপের পরিধি বাড়িয়ে চলেছেন মুশফিকুর রহিম। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তার ভক্ত। দেশে-বিদেশে অসংখ্য তরুণ ক্রিকেটার অনুসরণ-অনুকরণ করেন এই কিপার-ব্যাটসম্যানকে। রাজকোটে এসে এমনই এক ভক্তের দেখা পেলেন মুশফিক। সৌরাষ্ট্র মহিলা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কিপার-ব্যাটার রিদ্ধি রুপারেলের মনে দাগ কেটেছে তার হার না মানা মনোভাব। মুশফিক তাই তার ‘আইডল’।

ক্রীড়া প্রতিবেদকরাজকোট থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2019, 08:28 PM
Updated : 5 Nov 2019, 08:28 PM

ভারতে তারকা কিপার-ব্যাটসম্যান আছে অনেক। তারপরও মুশফিককে কেন আদর্শ মানেন তার ব্যাখ্যা দিলেন রিদ্ধি।

“আমি অনেক আগে থেকে মুশফিককে অনুসরণ করি। তিনি কখনও হার মানেন না। ইতিবাচক থাকেন। তার এই মানসিকতা ভালো লাগে।”

মুশফিকের নিবেদন প্রশ্নাতীত। ঐচ্ছিক অনুশীলনও সহজে মিস করেন না। এতো বছর ধরে কিভাবে এমন পরিশ্রম করে যাওয়া সম্ভব রিদ্ধি জানতে চান তার রোল মডেলের কাছে। ভেবে এসেছিলেন অনেক কিছু জিজ্ঞেস করবেন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের সহায়তায় যখন দেখা হলো তখন পেয়ে বসলো রাজ্যের সঙ্কোচ।

“ভেবেছিলাম টিপস চাইব কিছু। তবে তার সঙ্গে দেখা হতেই আমি বাকহারা হয়ে গিয়েছিলাম। দেখলেন না, একদম কথাই বলতে পারছিলাম না। বলুন তাহলে টিপস কিভাবে চাইবো? তাছাড়া তিনি বিরক্ত হন কি না এই সঙ্কোচে প্রশ্ন করিনি।”

দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে জিতে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচের ভেন্যুতে আগের দিন পৌছে মঙ্গলবার প্রথম অনুশীলন করে সফরকারীরা। অনুশীলনের ফাঁকে ভক্তকে সময় দিলেন মুশফিক। পরে রিদ্ধি জানান, তিনি মুশফিকের মতো করেই ক্রিকেট খেলতে চান।

“মহেন্দ্র সিং ধোনি, দিনেশ কার্তিকরা অসাধারণ। তবে মুশফিকের সঙ্গে আমার খেলার ধরন ও ভাবনা মেলে। দিল্লির ম্যাচে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যাওয়ার পর কি দারুণ আক্রমণাত্মক খেলেই না দলকে জেতালেন। আমিও এভাবে খেলি। তিনি যেমন একটু ধীরে শুরু করে হঠাৎ গতি বাড়ান, আমিও তাই। আমিও তার মতো লেগ সাইডে খেলতে পছন্দ করি। আমি মুশফিকের মতোই হতে চাই।”

গুজরাট রাজ্যের জামনগরের মেয়ে রিদ্ধি। সৌরাষ্ট্র অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অধিনায়ক তিনি। ঢাকা মহিলা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন একটি আসরে। সেবার দেখা করতে চেয়েছিলেন মুশফিক ও সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। দুই তারকা ব্যস্ত ছিলেন বলে সেবার দেখা হয়নি। এবার ঘরের মাঠেই দেখা পেলেন নিজের সবচেয়ে প্রিয় ক্রিকেটারের। ফিরে গেলেন আরও বেশি মুগ্ধতা নিয়ে।