ওয়ার্কলোড কমাতে টেস্টে কিপিং ছাড়তে চাই: মুশফিক

এবার জাতীয় লিগের আগে গ্রাউন্ড ফিল্ডিং ও হাই ক্যাচ অনুশীলন করেছেন। জাতীয় লিগে কিপিং করেননি। সেসবেই ছিল ইঙ্গিত। ভাবনাকে পরে বাস্তবে রূপ দেওয়ার অনুমতি মিলেছে জাতীয় কোচকে জানানোর পর। টেস্টে আপাতত আর কিপিং করবেন না মুশফিকুর রহিম। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মন খুলে জানালেন তার এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ, কিপিং নিয়ে সমালোচনার প্রভাব কতটা আছে এই সিদ্ধান্তে, বাংলাদেশের ভারত সফর ও প্রাসঙ্গিক আরও কিছু দিক নিয়ে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2019, 02:59 AM
Updated : 27 Oct 2019, 06:51 AM

এবার জাতীয় লিগে কিপিং করেননি। জাতীয় দলের হয়ে কি টেস্টে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার সম্ভাবনা আছে?

মুশফিকুর রহিম: আমি নিজেকে সেই ভূমিকাতেই ভাবছি। আপাতত টেস্টে কিপিং করতে চাই না। এত এত খেলা এখন, সামনেও অনেক খেলা আছে। আমি তো সব ফরম্যাটে খেলি, সবকিছু খেলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি বিপিএল, ডিপিএল খেলি। সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয় একটু ওভারলোড হয়ে যাচ্ছে।

লম্বা সময় ধরে পারফর্ম করে যেতে চাই আমি। সব সংস্করণে যখন খেলছি, একটু ভাবতেই হবে। গত ৫ বছরে আল্লাহর রহমতে আমি বড় কোনো চোটে পড়িনি। আবার বিশ্রামও সেভাবে পাইনি বা নেইনি। সবকিছু মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। ভবিষ্যতে যেন এমন পরিস্থিতি না হয় যে আমাকে একটি-দুটি সিরিজে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। সেটা না করে আমি যদি ওয়ার্কলোড একটু কমাতে পারি, সেটি কিপিং ছেড়েই সম্ভব। এটা আমার সিদ্ধান্ত। আমারই মনে হয়েছে।

এজন্যই কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে। টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা বাড়ছে আমাদের। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। সামনে আরও বিশ্বকাপ আছে। আমি যদি সুস্থ থাকি আর সবই খেলি, সব সংস্করণে অনেক খেলা। নিজের ওয়ার্কলোড যদি একটু কমাই, আমার মনে হয়েছে যে নিজের সেরাটা আরও লম্বা সময় ধরে দিতে পারব।

এটিই আমি কোচকে বলেছি। আমার ভাবনা উনার ভালো লেগেছে। বলেছেন যে, “মোস্ট ওয়েলকাম… তুমি এটি করতে পারো।”

কোচ তখন শ্রীলঙ্কায় ছিলেন (বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সফরে)। তখন বলেছিলেন যে, তার আপত্তি নেই। তবে চূড়ান্ত কথা পরে জানাবেন। এরপর হয়ত নির্বাচক বা অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে বলেছেন যে সমস্যা নেই।

তার মানে ক্যারিয়ার লম্বা করার একটি ভাবনাও আছে সিদ্ধান্তের পেছনে?

মুশফিক: তিরিশ তো পেরিয়ে গেছি বেশ আগেই (অফিসিয়াল বয়স ৩২)। যদি বলতে চান ক্যারিয়ার লম্বা করার একটি পথ, বলতে পারেন।

তবে আমার কাছে মনে হয়, সেরা খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। এক্সিলেন্স ধরে রাখতে চাই আমি। কোনোমতে একাদশে টিকে থেকে খেলব, এটি আমি কখনোই চাই না। যেখানেই খেলব, আমি যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি। পারফরম্যান্স সবসময় সমান হবে না। তবে সেরাটা দেওয়ার সামর্থ্য যেন থাকে। নিজের সেরা চেহারায় যেন থাকতে পারি।

এই ভাবনা থেকেই আমার মনে হয়েছে, যদি ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে একটু ত্যাগ স্বীকার করি, তাহলে হয়তো নিজের সেরাটা আরও লম্বা সময় দিতে পারব।

কিপিং করেও যে ভালো করতে পারব না, তা কিন্তু নয়। আমার দুটি ডাবল সেঞ্চুরি কিপিং করেই। সবকটি টেস্ট সেঞ্চুরি কিপিং করে। কিপিং করে আমার ব্যাটিং রেকর্ড তুলনামূলক অনেক ভালো (কিপার হিসেবে ১০৪ ইনিংসে ব্যাটিং গড় ৩৭, কিপিং না করে ২১ ইনিংসে ২৪.৪৭)।

আমার কাছে এখনও মনে হয়, কিপিং করলে আমার ব্যাটিংয়ের আইডিয়াও ভালো থাকে। পেছন থেকে সব দেখতে পারি। কাজে লাগে ব্যাটিংয়ে।

আবার উল্টোও আছে। কিপিং না করেও ভালো খেলেছি। গত বিপিএলে বেশির ভাগ ম্যাচে কিপিং না করে ভালো খেলেছি। দুটিই আছে। দুটিরই অনেকগুলো দিক আছে।

সব দিক ভেবেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। কিপিং করার ম্যাচে আমার ব্যাটিং পরিসংখ্যান ভালো। এবার নিজেকে নতুন করে উপস্থাপন করার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি। আমার কাছে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে, চ্যালেঞ্জটি আমি উপভোগ করব। নিজের মধ্যে নতুন উদ্দীপনাও টের পাচ্ছি। যেটা ভালো লাগছে।

কিপিং নিয়ে বাইরের সমালোচনার প্রভাব কতটা আছে আপনার সিদ্ধান্তে?

মুশফিক: আরে ধুর… সমালোচনা কি নতুন? গত ১ বছর ধরে হচ্ছে? সমালোচনা হবেই। আমার ঘাটতিও থাকতে পারে। সবাই তো সাকিব আল হাসান নয় যে ব্যাটিং-বোলিং দুটিই একশ-একশ হবে। ব্যাটসম্যান বা বোলার, যে কোনো একটি হিসেবেই ওকে খেলাতে পারবেন। সবাই তো ওরকম নয়। আমার ব্যাটিং ও কিপিং হয়তো সমান ছিল না। আমি চেষ্টা করেছি ভাই। ভুল তো সবারই হয়।

সমালোচনার কোনো প্রভাব আছে বলে আমার মনে হয় না। যেটি বললাম আগেই, আমার নিজের জন্যই ভেবেছি। সবার আগে হলো, নিজে সেরা পারফর্ম না করলে খেলা কঠিন। বা খেললেও তৃপ্তি মেলে না। এজন্যই আমার কাছে মনে হয়েছে যে কিপিং ছাড়লে হয়তো ব্যাটিংয়ে বেশি অবদান রাখতে পারব। নিজেরই উপলব্ধি।

সমালোচনার কারণে যদি ছাড়তাম, তাহলে তো বলে দিতাম সব সংস্করণেই ছেড়ে দেব! বাইরের কোনো প্রভাবে তাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। এসব তো জোর করে হয় না। আমাকে যখনই জিজ্ঞেস করেছেন আপনারা, আমি সবসময় বলেছি যে কিপিং উপভোগ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি কিপিং ছেড়ে দেখতে চাই ব্যাটিংয়ে কতটা পারি।

তবে সবকিছুর আগে টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া। এর আগেও কিন্তু কিপিং করিনি, গত বছর ও তার আগে কিছু টেস্টে করিনি। তখন আমি রাজী ছিলাম না, কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট চেয়েছিল। এখনও আমার হাতে নয়। আমার কথা আমি বলেছি যে আপাতত করতে চাই না কিপিং। টিম ম্যানেজমেন্টকে প্রস্তাব দিয়েছি। তারাও সায় দিয়েছে।

শুধু টেস্টেই তো ছাড়ছেন?

মুশফিক: হ্যাঁ, আমি যেটা উপলব্ধি করেছি, টেস্টেই ওয়ার্কলোড কমাতে চাই। এরপর টিম ম্যানেজমেন্ট যদি চায় সব ফরম্যাটে ছাড়তে হবে, সেটা তাদের ভাবনা।

আবার যদি টিম ম্যানেজমেন্ট কিপিং করতে বলে?

মুশফিক: সেটাও তাদের ব্যাপার। দলকেই সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে। আপাতত আমি বলেছি যে টেস্টে কিপিং করতে চাই না।

ভাবনাটা কখন এলো? জাতীয় লিগের আগে ফিল্ডিং অনুশীলনের সময়ও কিন্তু কিপিং ছাড়ার কথা জোর দিয়ে বলেননি!

মুশফিক: তখনও আসলে নিশ্চিত ছিলাম না। ফিল্ডিং দিয়ে ফিটনেস ঠিক রাখাও একটি ব্যাপার ছিল। আর কোচকে বলা মানেই যে তিনি মানবেন, সেই নিশ্চয়তাও ছিল না। সব মিলিয়েই সময় নিয়েছি।

তখন আপনাকে যেটি বলেছিলাম, সেটিই সত্যি যে তখন সবকিছুর জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখছিলাম। আমি আমার কাজ করে গেছি। যদি কোচ রাজী না হতেন, তাহলে গিয়ে কিপিং করতাম। কোচ রাজী হয়েছেন, এখন আমি নিজের কাজে একটু এগিয়ে থাকলাম। এই তো।

ফিল্ডিং পজিশন কোথায় হবে? চন্দিকা হাথুরুসিংহে কোচ থাকার সময় আপনার ফিল্ডিং পজিশন নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল তুমুল…

মুশফিক: সেসব নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না। ফিল্ডিংয়ে উন্নতির চেষ্টা করছি। থ্রোয়িংয়ে আমার এমনিতেই একটু সমস্যা আছে। কাঁধে এসি জয়েন্টে চোটের কারণে দূর থেকে থ্রো করায় প্রতিবন্ধকতা আছে। এজন্য সার্কেলের ভেতর যতটা ভালো করা সম্ভব, চেষ্টা করছি উন্নতির। আর যদি বোঝা হয়ে যাই, তাহলে তো বাদ দিতেই হবে।

বোঝা হয়ে যাওয়া তো অভিমানের কথা হয়ে গেল…

মুশফিক: না না, এটাই বাস্তবতা। সবার তো সময় সমান যায় না চিরদিন। তবে বোঝা হয়ে ওঠার অনেক আগেই দেখবেন আমি নাই। বিদায় নেব।

ব্যাটিং অর্ডারেও ওপরে উঠতে হবে এখন। দায়িত্ব বেশি নিতে হবে। ভারতের বোলিং আক্রমণ তো দুর্দান্ত। টেস্ট সিরিজে আপনার চাওয়া কি থাকবে?

মুশফিক: যেহেতু এখন আমি একটি ডিপার্টমেন্ট দিয়েই দলে থাকব, অবশ্যই চাওয়া থাকবে সর্বোচ্চটা যেন দিতে পারি।

আর প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণের কথা বললে, আর কোনো দলের ব্যাটসম্যানদের মনে হয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মতো কষ্ট করে রান করতে হয় না। সব দলের বোলিং লাইন আপই ভালো, অনেক ডিসিপ্লিনড, হাঁফ ছাড়ার সুযোগ দেয় কম। আপনি তামিমকে জিজ্ঞেস করুন, নতুন বলের মুখোমুখি হয় ও, আরও বেশি জানে।

এসব এই কারণে বলছি যে সব বোলিংই কঠিন আমাদের জন্য। ভারত অবশ্যই এখন এক নম্বর। খুব চ্যালেঞ্জিং হবে আমাদের জন্য। তবে এটিই আমাদের জন্য সুযোগ চ্যালেঞ্জ উতরানোর। আমি, সাকিব, রিয়াদ ভাই, ইমরুল যদি থাকে, সিনিয়রদের সবার জন্যই সুযোগ। আমরা ভালো অবস্থায় আছি। ভারত সফরে আর কবে যাওয়া হয়, না হয় কে জানে! তামিম হয়তো দুর্ভাগ্যবশত থাকছে না। তারপরও ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের এবার সেরা সুযোগ আমি মনে করি। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করব, আমার বিশ্বাস।

ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানো এখন ক্রিকেটের সবচেয়ে কঠিন কাজ সম্ভবত। বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযান শুরু হচ্ছে কঠিনতম লড়াই দিয়েই!

মুশফিক: ভারতের মাটিতে ভারত এখন দারুণ শক্তিশালী দল। তবে আমরাও ফেলনা নই। ওরা টানা ১২ টি সিরিজ জিতেছে, আমাদের সঙ্গে জিতলে ১৩টি হবে। এই তো! ওদের তো এটা প্রত্যাশিতই। কিন্তু আমরা যদি ভালো খেলে চমক দিতে পারি, তাহলে দারুণ ব্যাপার হবে।

যদিও টেস্টে ওদের সঙ্গে আমাদের রেকর্ড খুব সুখকর নয়। তবে শর্ট ফরম্যাটে কিন্তু ওদের সঙ্গে আমরা ভালো খেলি। হয়তো খুব বেশি জিতিনি, তবে খুব কাছে গিয়ে অনেক ম্যাচ হেরেছি। টানা ওদের সঙ্গে জয়ের এত কাছাকাছি যাওয়াও একটা ইতিবাচক দিক যে লড়াই করছি। আর কোনো দল মনে হয় ওদের এত কাছে যেতে পারেনি এত বেশিবার।

আর আমাদের তো হারানোর কিছু নেই। বরং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বলে চাপ ওদের ওপরই থাকবে। ওদের ঘরের মাঠ, সমর্থন থাকবে। তবে আমার মনে হয়, আমরা মুক্তমনে খেলতে পারলে ভালো কিছু সম্ভব।

ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমবার টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এরকম বিখ্যাত ভেন্যুগুলো নিয়ে অনেকেরই অনেক আবেগ কাজ করে। আপনার চাওয়া কি থাকবে এখানে?

মুশফিক: আমার ক্রিকেট জীবনের প্রথম বিদেশ সফর কলকাতায়। প্রথম ম্যাচ ইডেনে। অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে খেলতে গিয়েছিলাম ২০০১ সালে। এই দলের আমি একাই তখন ওই দলে। এরপর এত লম্বা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইডেনে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলতে পেরেছি, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তবে টেস্ট ম্যাচ তো টেস্ট ম্যাচ, এটির মাহাত্মই আলাদা।

লক্ষ্য থাকে তো অবশ্যই। দেখুন, এমনিতেই প্রতি সিরিজে লক্ষ্য থাকে। শতভাগ লক্ষ্য থাকে সেঞ্চুরি করার, দলকে জেতানোর। আর এরকম কোনো ভেন্যু থাকলে…যেমন ইডেন অবশ্যই স্পেশাল। ২০০১ সালে গিয়েছি, ১৮ বছর পর যাচ্ছি। চেষ্টা করব উপলক্ষ্য স্মরণীয় করে রাখতে। তবে ইডেনের উইকেট অত সহজ হবে না। গত বছর দুয়েক ধরে ওখানে উইকেট অনেক কঠিন থাকে ব্যাটিংয়ের জন্য। দেখা যাক, ইনশাল্লাহ।

১৩ দফা দাবি নিয়ে ধর্মঘট ও দেশের ক্রিকেটে তোলপাড়ের পর মাঠের ক্রিকেটে সবার নজর থাকবে হয়তো। যদিও আপনাদের দাবি দাওয়া অনেক বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে ছিল, মাঠের পারফরম্যান্সের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। তারপরও বোর্ড, দর্শক-সমর্থক সবার দৃষ্টি থাকবে। চাপটা কি অনুভব করছেন?

মুশফিক: নাহ, এটা আর কিসের চাপ! সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে চাপ সবসময়ই থাকে। আমাদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা থাকে, নিজের কাছে থাকে। ১০-১৫ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পর এসব চাপ সামলাতেই হবে। আমার কাছে ব্যক্তিগভাবে এটা কোনো চাপ না। দেশের হয়ে খেলা, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা অনেক বড় ব্যাপার। সেটির মান রাখতে চাই। এই তো।