চট্টগ্রামকে ২৯০ রানে থামিয়ে দেওয়া মেট্রো দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে করেছে ৬৬ রান। শামসুর ২৬ ও মার্শাল ২১ রানে ব্যাট করছেন।
চোটের জন্য চট্টগ্রামের মূল বোলারদের কেউ নেই। পুরোপুরি আনকোরা বোলিং লাইনআপ নিয়ে নেমেছে দলটি। পাঁচ বোলারেরই হয়েছে অভিষেক। শুরুতে খারাপ করেননি এই তরুণ বোলাররা।
বেশিক্ষণ টিকেননি জাতীয় দলের ওপেনার সাদমান ইসলাম। পেসার নোমান চৌধুরীর বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ধরা পড়েন গালিতে। সীমানায় বল পাঠিয়ে তিন রান নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট হয়ে যান রাকিন আহমেদ।
কঠিন সময় মাটি কামড়ে পার করে দেন শামসুর ও মার্শাল। থিতু হয়ে যাওয়ার পর দুই জনই ছিলেন সাবলীল।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ৩ উইকেটে ১৪৭ রান নিয়ে খেলতে নামা চট্টগ্রাম দিনের শুরুতেই উইকেট হারায়। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান পিনাক ঘোষকে কট বিহাইন্ড করে ফিরিয়ে দেন শহিদুল ইসলাম।
কিপার-ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলামের সঙ্গে দ্রুত জমে যায় তাসামুলের জুটি। দুই তরুণের ব্যাটে দুইশ ছাড়ায় চট্টগ্রামের সংগ্রহ। শেষের দিকে রানের জন্য ছটফট করা মাহিদুলের বিদায়ে ভাঙে ৬৭ রানের জুটি। সানিকে ওড়ানোর চেষ্টায় তিনি ধরা পড়েন লংঅফে।
অভিষিক্ত অলরাউন্ডার মাসুম খানের সঙ্গে দলকে ৫ উইকেটে ২৭৫ রানের দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যান তাসামুল। সানির দারুণ এক ডেলিভারিতে মাসুম স্লিপে ধরা পড়লে ভাঙে ৫৭ রানের জুটি।
এরপর আর বেশি দূর এগোয়নি চট্টগ্রামের ইনিংস। মাত্র ১৫ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় তারা। সবকটি উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার সানি। সঙ্গীর অভাবে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যাওয়া তাসামুল ঝুঁকি নিয়ে খেলা শুরু করেন। তাকে বোল্ড করেই চট্টগ্রামকে গুটিয়ে দেন সানি। ৮৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার।
২৪৯ বলে ৯০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে সাতটি চার মারেন তাসামুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১৪৭/৩) ১২২.৫ ওভারে ২৯০ (পিনাক ৩২, তাসামুল ৯০, মাহিদুল ৩০, মাসুম ২৭, আফ্রিদি ০, মেহেদি ০, রনি ০, নোমান ০*; শহিদুল ২৪-৫-৫৬-১, মেহরাব ২০-৮-৩৬-০, সৈকত ৭-২-২৩-০, মাহমুদউল্লাহ ২৬-৫-৫৫-৬, সানি ৩৯.৫-১২-৮৭-৬, আল আমিন জুনিয়র ৬-১-১৭-০)
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ২৪ ওভারে ৬৬/২ (সাদমান ৬, রাকিন ৮, শামসুর ২৬*, মার্শাল ২১*; নোমান ৯-১-২৩-১, রনি ২-১-৪-০, মেহেদি ৭-১-২৩-০, আফ্রিদি ৪-০-১০-০, মাসুম ২-০-৪-০)