অ্যাশেজের শেষ টেস্টের প্রথম দিনে ওভালে ব্যাট-বলের লড়াই হলো জমজমাট। খেলা হয়েছে ৮২ ওভার। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে করেছে ২৭১ রান।
ওভালের উইকেটে পেসারদের জন্য যেমন সুইং ছিল, ব্যাটসম্যানদের জন্যও ছিল টিকে থাকা ও রান করার সুযোগ। স্পোর্টিং উইকেটে লড়াই হয়েছে তুমুল। ইংলিশদের বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন থিতু হয়েও। অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা দেখিয়েছেন গতি ও স্কিল।
মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার হলেও মার্শ চমকে দিয়েছেন বল হাতে। গতি ছিল দারুণ, ৯০ মাইল ছুঁইছুঁই ছিল অনেক সময়ই। সুইং করিয়েছেন বল, ছুঁড়েছেন চোখধাঁধানো ইয়র্কার। দিন শেষে ৩৫ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট, তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
শুরুর আঘাত যদিও এসেছে যথারীতি সিরিজের সফলতম বোলার প্যাট কামিন্সের হাত ধরে। ফিরিয়ে দেন ১৪ রান করা জো ডেনলিকে।
তবে ররি বার্নস ও জো রুট দ্বিতীয় উইকেটে গড়ে দারুণ জুটি। ১ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় ইংল্যান্ড। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলের জন্য বলা যায় দারুণ শুরু।
৭৬ রানের জুটি ভাঙে জশ হেইজেলউডের সৌজন্যে। ৪৭ রান করা বার্নসের ক্যাচ নেন মার্শ।
এরপর মার্শ দৃশ্যপটে চলে আসেন বল হাতে। বেন স্টোকসকে ফেরান ২০ রানে।
ফিফটি পেরিয়ে রুট টিকে ছিলেন তখনও। দ্বিতীয় সেশন শেষেও বেশ ভালো অবস্থানে ছিল ইংল্যান্ড, স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৬৯।
চা বিরতির পর বদলে যায় চিত্র। অসাধারণ একটি ডেলিভারিতে কামিন্স উড়িয়ে দেন রুটের বেলস।
এরপর মার্শ মেলে ধরেন নিজেকে। ২২ রান করা জনি বেয়ারস্টোকে ফেরান দারুণ ইয়র্কারে। জেসন রয়ের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া স্যাম কারান আউট হন একটি করে চার ও ছক্কায় ১৫ রান করে। ক্রিস ওকসও জবাব পাননি মার্শের ইয়র্কারের।
এরপর জশ হেইজেলউডের দুর্দান্ত ডেলিভারি যখন ফেরাল জফরা আর্চারকে, ইংল্যান্ডের রান ৮ উইকেটে ২২৬। অপেক্ষা ইনিংস শেষের।
দ্বিতীয় নতুন বলের সুযোগ হওয়া মাত্র নিতে দেরি করেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে ২ ওভার বোলিংয়ের পরই আলোকস্বল্পতায় শেষ দিনের খেলা।
বাটলার তখন অপরাজিত ৬৪ রানে। নবম উইকেটে লিচের সঙ্গে জুটি হয়ে গেছে ৪৫ রানের। ইংল্যান্ড দিন শেষ করেছে কিছুটা স্বস্তিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮২ ওভারে ২৭১/৮ (বার্নস ৪৭, ডেনলি ১৪, রুট ৫৭, স্টোকস ২০, বেয়ারস্টো ২২, বাটলার ৬৪*, কারান ১৫, ওকস ২, আর্চার ৯, লিচ ১০*; কামিন্স ২২.৫-৫-৭৩-২, হেইজেলউড ২১-২-৭৬-২, সিডল ১৭-১-৬১-০, মার্শ ১৬.১-৪-৩৫-৪, লায়ন ৪-০-১২-০,লাবুশেন ১-০-৫-০)।