প্রথম ইনিংসের ছক্কায় তালি, পরের ইনিংসে আউটে গালি: মোসাদ্দেক

চেষ্টা ছিল একইরকম কিছুর। ফল হয়েছে দুই রকম। প্রতিক্রিয়াও তাই ভিন্ন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে মোসাদ্দেক হোসেন পেয়েছেন মিশ্র স্বাদ। দুটির সমন্বয় ভাবনায় তল পাচ্ছেন না এই অলরাউন্ডার। বুঝে উঠতে পারছেন না এগোবার পথ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2019, 01:50 PM
Updated : 11 Sept 2019, 01:50 PM

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে আট নম্বরে নেমে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক। দ্বিতীয় ইনিংসে বড় একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। তাকে পাঠানা হয়েছিল তিন নম্বরে। টেস্টে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছিলেন টপ অর্ডারে ব্যাটিংয়ের।

কিন্তু সুযোগ হারান তিনি বাজে শট খেলে। ১২ রানে আউট হন চায়নাম্যান বোলার জহির খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে।

সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে, এটা মানছেন মোসাদ্দেকও। কিন্তু আউটের ধরন নিয়ে সমালোচনায় তিনি ঠিক একমত নন। টেস্টের পর জায়গা পেয়েছেন তিনি টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও। বুধবার সেই দলের অনুশীলনের পর কথা বললেন টেস্টের ওই শট নিয়ে।

“রান না করলে তো অবশ্যই সুযোগ নষ্ট করার মতোই। তবে, অনেকের মনে হতে পারে যে আমি মারতে গিয়ে আউট হয়েছি। প্রথম ইনিংসেও কিন্তু ছক্কা মেরে শুরু করেছিলাম! দ্বিতীয় ইনিংসেও ছয় হলে অন্যরকম হতো পারত। হয়নি, এটা হতাশার।”

প্রথম ইনিংসে মোসাদ্দেক একটি ছক্কা মেরেছিলেন বটে, তবে সেটিই শুরু ছিল না। ফুল টস পেয়ে যখন মেরেছিলেন, তার আগেই ৩৭ বল খেলে ১৫ রান করে ফেলেছিলেন।

দুই ইনিংসের প্রেক্ষাপটও ছিল ভিন্ন। প্রথম ইনিংসে নেমেছিলেন লোয়ার মিডল অর্ডারে। লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ছিল লড়াই। দ্বিতীয় ইনিংসে সুযোগ পেয়েছিলে তিনে, টিকে থাকা ছিল লড়াই। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান পরে বলেছিলেন, বড় ইনিংস খেলার ভূমিকা দিয়ে তিনে পাঠানো হয়েছিল মোসাদ্দেককে।

মোসাদ্দেক এখানে শোনালেন নিজের ঘরানার কথা। শুরুর বাউন্ডারি তাকে সাহায্য করে সামনে ছুটে যেতে।

“একেকজন ব্যাটসম্যান যখন ব্যাট করে, সবার ভাবনা একেকরকম থাকে। একেকজন একেক স্টাইলে রান করতে পছন্দ করে। আমি যখন ব্যাটিংয়ে নামি, একটি বাউন্ডারি হয়ে গেলে আমি একটু রিল্যাক্সড থাকতে পারি। প্রথম ইনিংসে যখন ছক্কা মেরেছিলাম, তখন সবাই তালি দিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হওয়ায় গালি দিচ্ছে। এটিই স্বাভাবিক। আমি চেষ্টা করব পরেরবার ভুল কম করতে।”

সাকিবের আরেকটি কথাই আবার সংশয়ে ফেলে দিয়েছে মোসাদ্দেককে।  তরুণ ক্রিকেটারদের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছিলেন মন খুলে খেলতে না পারার কথা। মোসাদ্দেক সেখানে দ্বিধান্বিত।

“মন খুলে খেলতে গিয়েই তো আউট হয়েছি (দ্বিতীয় ইনিংসে)!  সেটি নিয়েই এখন  প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। কোন দিকে যাব, নিজেও বুঝতে পারছি না...।”

আপাতত তাকে যেতে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। যেখানে নিজের ভূমিকা নিয়ে তিনি নিশ্চিত নন এখনও। তবে প্রস্তুতিতে ঘাটতি রাখছেন না।

“এখনও পর্যন্ত কোনো কথা হয়নি। আমি জানি যে আমি লোয়ার-মিডল অর্ডারে ব্যাট করি (জাতীয় দলে)। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি অন্য কিছু জানতে পারি, তখন সেভাবেই প্রস্তুতি নেব। আপাতত এই সিরিজে ভালো করার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। ”