এমন ‘বিয়ের প্রস্তাব’ চান না সাকিব

হাঁটু গেড়ে বসে বাড়িয়ে দেওয়া ফুল, প্রেম নিবেদন কিংবা বিয়ের প্রস্তাবেরই রীতি। মাঠে ঢুকে যাওয়া দর্শকের কাণ্ডে সাকিব আল হাসানও মজা করে বললেন, তিনি ভেবেছিলেন বিয়ের প্রস্তাব! তবে মজা শেষে দায়িত্বশীল অধিনায়কের মতোই বললেন, এভাবে মাঠে দর্শকের ঢুকে যাওয়া কখনোই সমর্থন করেন না তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদক চট্টগ্রাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2019, 12:51 PM
Updated : 6 Sept 2019, 02:30 PM

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে ঘটেছে দর্শক মাঠে প্রবেশের এই ঘটনা। সাকিব তখন নিজের প্রথম ওভার বোলিং করছিলেন। আচমকাই গ্যালারি থেকে মাঠে নেমে তার দিকে ছুটে যান এক দর্শক।

কাছাকাছি গিয়ে সাকিবকে স্যালুট ঠুকে দেন ওই দর্শক। তারপর নাটকীয়ভাবে লাফ দিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে বাড়িয়ে দেন গোলাপ। দ্বিধান্বিত সাকিব গ্রহণ করেন উপহার।

দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে অবধারিতভাবেই উঠল সেই প্রসঙ্গ। সাকিব কৌতুক করে বললেন, “সে ফুল বাড়িয়ে ধরে শুধু। আমি ভাবলাম বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে কিনা... (হাসি)।”

অধিনায়কের কথায় হাসির রোল উঠল সংবাদ সম্মেলনে। হাসির রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই সাকিব বললেন গুরুত্বপূর্ণ কথাটি।

“...কিন্তু আমি চাই না এরকম কিছু হোক। খেলার মাঠে এরকম কিছু যত কম হয়... আসলে কম নয়, একদম না হওয়াই ভালো।”

বাংলাদেশে ক্রিকেট মাঠে এভাবে দর্শক ঢুকে যাওয়ার ঘটনা এখন নিয়মিত হতে শুরু করেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও তাই প্রশ্ন উঠছে। যখনই ঘটনা ঘটে, তখন নিরাপত্তা নিয়ে তোড়জোর হয় অনেক। এরপর আস্তে আস্তে আবার সব আগের মতো হয়ে পড়ে।

ফুল দেওয়ার পর ওই দর্শক জড়িয়ে ধরতে চাইছিলেন সাকিবকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক চাইছিলেন এড়াতে। বার তিনেক তাকে বিরত করেন সাকিব।

তখনও মাঠে কোনো নিরাপত্তাকর্মীর দেখা নেই। সাকিব এক পর্যায়ে বাধ্য হন ওই দর্শককে খানিকটা জড়িয়ে ধরতে।

এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা এসে তাকে টেনে বাইরে নিয়ে যায়। যথারীতি তখন নিরাপত্তাকর্মীদের তৎপরতা দেখা যায়। ওই দর্শককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গ্যালারিতে দর্শকের দিকে মুখ করিয়ে পুলিশ দাঁড় করানো হয়, যেটি থাকার কথা সবসময়ই। স্টেডিয়ামের মাইকে সতর্কবার্তা শোনা যায়।

এর আগে ২০১৬ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই বাংলাদেশের ওয়ানডে ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড থেকে এক দর্শক ছুটে গিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে জড়িয়ে ধরতে। ওই ঘটনায় তখন হইচই হয়েছিল অনেক। নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল ব্যাপকভাবে। পুলিশে দেওয়া হয়েছিল ওই দর্শককে। গ্যালারিতে বাড়তি বেড়া লাগানো হয়েছিল।

এরপর কিছুদিন মাঠের নিরাপত্তায় একটু কড়াকড়ি ছিল। পরে আবার আলগা হয়ে পড়ে সময়ের সঙ্গে।

আবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে গত বছর সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে। মুশফিকুর রহিমকে জড়িয়ে ধরতে পরপর দুই দিন মাঠে ঢুকে যায় দর্শক। এবারও যথেষ্ট শোরগোল পড়ে। বাড়ানো হয় নিরাপত্তা।

এবারের ঘটনায় প্রমাণ, নিরাপত্তায় ফাঁক ছিল যথেষ্টই।