মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের নতুন প্রধান কোচ জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা দুই বছর চাপগুলো খুব মিস করতেন তিনি।
“দেখুন, পাঁচ বছর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ ছিলাম, সেদিক থেকে আমি বলতে পারি, সেখানেও বিপুল প্রত্যাশা ছিল। সবাই প্রতিপক্ষকে হারাতে চায়। বাংলাদেশেও ব্যাপারটা এরকমই। এই চাপ আর প্রত্যাশার সঙ্গে আমি পরিচিত।”
“দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের সঙ্গে কাজ করায়, শেষ দুই বছর হয়তো আমি সেভাবে সফর করিনি। বছরে হয়তো একটি সফর করেছি। এই সময়ে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপগুলো খুব মিস করেছি। আমি নির্বাচন ও কৌশল নিয়ে চিন্তা করা নিয়ে রোমাঞ্চিত। জিততে হবে- কোচ হিসেবে আমরা এই চাপটা পছন্দ করি। আপনি যে দলেরই কোচ হন না কেন, আপনার ওপর কিছু ম্যাচ জেতার চাপ থাকবেই।”
হারলেই যে সমর্থকরা কোচ ও খেলোয়াড়দের পেছনে লাগবে ভালো করেই জানা আছে ডমিঙ্গোর। জানান, বাজে সময়ে সব কিছু থেকে দূরে রাখবেন ক্রিকেটারদের।
“দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকরাও ব্যতিক্রম ছিল না। দলকে এই সবের বাইরে রাখতে হবে আমার। ছেলেদের পরের ম্যাচের দিকে মনোযোগী রাখার চেষ্টা করবো। ওরা যেন বাইরের কথায় এলোমেলো না হয়ে যায় সেদিকে আমার নজর থাকবে।”
প্রথম দিনে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রাথমিক পরিচয় হয়েছে। আপাতত চলছে ক্রিকেটারদের জিম ও রানিং সেশন। স্কিল ট্রেনিং শুরু হলে ডমিঙ্গোর কাজও শুরু হয়ে যাবে। তার আগের সময়টুকু কাটাতে চান, শিষ্যদের পর্যবেক্ষণ করে।
“আমার প্রথম লক্ষ্য ছেলেদের সঙ্গে একটা যোগাযোগ স্থাপন করা, ওদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে তোলা। পরের এক-দুই সপ্তাহে ওদের বোঝার চেষ্টা করব। আমি মনে করি, এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।”
“ছেলেদের বিশ্বাস অর্জন করাও হবে একটা লক্ষ্য। এখানে ওরা কিভাবে কাজগুলো করে, আগামী কয়েকদিন আমি তা পর্যবেক্ষণ করব।”