অস্ট্রেলিয়ার ত্রিমুখী ছোবলে কাবু ইংলিশ ব্যাটিং

প্রথম টেস্টে বসে থাকতে হয়েছে বাইরে। টেস্ট ক্যারিয়ার যথেষ্ট সমৃদ্ধ হওয়ার পরও তাই জস হেইজেলউডের প্রমাণ করার ছিল কিছু। ফেরার টেস্টে এই পেসার নিজের জাত চেনালেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে। ফর্মে থাকা প্যাট কামিন্স ও ন্যাথান লায়ন ধরে রাখলেন ধারাবাহিকতা। অস্ট্রেলিয়ার ত্রিমুখী এই আক্রমণের সামনে ইংল্যান্ড গড়তে পারল না বড় স্কোর।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2019, 06:54 PM
Updated : 15 August 2019, 06:54 PM

বৃষ্টিতে প্রথম দিন ভেস্তে যাওয়ার পর অ্যাশেজের লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনে খেলা হয়েছে প্রায় পুরোটুকু। সিরিজে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ২৫৮ রানে। প্রথম তিনটি উইকেটই নিয়েছেন হেইজেলউড। পরে কামিন্স ও লায়নও নিয়েছেন তিনটি করে। অস্ট্রেলিয়া বৃহস্পতিবার দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৩০ রান তুলে।

ইংল্যান্ডের ওপেনার জেসন রয় ও শেষ ব্যাটসম্যান জ্যাক লিচ ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন সব ব্যাটসম্যানই। কিন্তু ফিফটি করতে পেরেছেন কেবল ররি বার্নস ও জনি বেয়ারস্টো। এই দুজনও পঞ্চাশকে টেনে নিতে পারেননি ষাট পর্যন্তও। তাই বড় হয়নি দলের স্কোর।

আগের দিন ঢেকে রাখা উইকেটে দুই অধিনায়কেরই চাওয়া ছিল আগে বোলিং। টস জিতে সেই চাওয়া পূরণ হয় টিম পেইনের। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের হাসি আরও চওড়া হয় খেলা শুরুর পরপরই। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই হেইজেলউড ফিরিয়ে দেন জেসন রয়কে।

প্রায় নিখুঁত লাইন-লেংথে বোলিং করে যাওয়া হেইজেলউডের বোলিংয়ে হাঁসফাঁস করেছে ইংলিশরা। তার হাত ধরেই আসে দ্বিতীয় উইকেট। ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট।

হেইজেলউডের প্রথম স্পেল ছিল ৬-৩-৫-২! তাকে বোলিং থেকে সরানোর পর একটু দম ফেলার ফুরসত পায় ইংলিশরা। জুটিও গড়ে ওঠে সেই সুযোগে। ওপেনার বার্নসকে সঙ্গ দেন জো ডেনলি।

৬৬ রানের এই জুটি লাঞ্চের পর ভাঙেন সেই হেইজেলউড। ৩০ রান করা ডেনলি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন দারুণ এক ডেলিভারিতে।

এরপর জেগে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার অন্য বোলাররা। আগে টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান বার্নসকে ৫৩ রানে ফেরান কামিন্স। শর্ট লেগে দুর্দান্ত রিফ্লেক্স ক্যাচ নেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট।

জস বাটলারকে থিতু হতে দেননি পিটার সিডল। ৩ চারে ১৩ রান করা বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে শিকার শুরু করেন লায়ন। ১৩৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড তখন দিশাহারা।

বেয়ারস্টো আর ক্রিস ওকস প্রতিরোধ গড়েন সেই বিপর্যয়ে। এই দুজনের ব্যাটেই দল পেরিয়ে যায় দুইশ।

সপ্তম উইকেটে ৭২ রানের জুটি ভাঙেন কামিন্স। ফিরিয়ে দেন ৩২ রান করা ওকসকে।

লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে এরপর দলকে কিছুটা টেনে নেন বেয়ারস্টো। নিজে পেরিয়ে যান ফিফটি। শেষ পর্যন্ত তাকে ৫২ রানে থামিয়ে ইংলিশদের ইনিংস শেষ করে দেন লায়ন।

শেষ বিকেলে বোলিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুতে সাফল্য পেয়েছে ইংল্যান্ড। স্টুয়ার্ট ব্রড ফিরিয়ে দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারকে। বোলারদের সৌজন্যে তবু প্রথম দিন শেষে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়াই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৭৭.১ ওভারে ২৫৮ (বার্নস ৫৩, রয় ০, রুট ১৪, ডেনলি ৩০, বাটলার ১২, স্টোকস ১৩, বেয়ারস্টো ৫২, ওকস ৩২, আর্চার ১২, ব্রড ১১, লিচ ৬*; কামিন্স ২১-৮-৬১-৩, হেইজেলউড ২২-৬-৫৮-৩, সিডল ১৩-২-৪৮-১, লায়ন ১৯.১-২-৬৮-৩, স্মিথ ২-০-৬-০)।

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১৩ ওভারে ৩০/১ (ব্যানক্রফট ৫* ওয়ার্নার ৩, খাওয়াজা ১৮*; ব্রড ৫-০-১৩-১, আর্চার ৬-৩-১০-০, ওকস ২-০-৩-০)।