বিশ্বকাপকে মাথায় রেখেই গত নিউ জিল্যান্ড সফরের আগে শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে বিতর্কিতভাবে দলে ফেরানো হয় সাব্বিরকে। চাওয়া ছিল শেষ দিকে কার্যকর একজন ব্যাটসমানকে দলে রাখা। টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায়, শেষ দিকে যেহেতু বিশ্বমানের সব পেসাররা বোলিং করবেন, তাদের বিপক্ষে দ্রুত রান তোলায় দলে সাব্বিরের বিকল্প নেই।
সেই গুরুভারের কথা জানেন সাব্বির। প্রস্তুতিও নিচ্ছেন সেভাবে। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে সেভাবে এখনও সুযোগ পাননি নিজের ভূমিকা পালনের। তবে সুযোগ যখন আসবে, তখন যেন ব্যর্থ না হন, তৈরি হচ্ছেন সেভাবেই।
“বিশ্বকাপের জন্য ভালো প্রস্তুতি হচ্ছে এখানে। আয়ারল্যান্ডের উইকেট বিশ্বকাপের উইকেট একই হবে প্রায়। প্র্যাকটিস উইকেটগুলোও একইরকম প্রায়। আমি যে ধরনের পরিস্থিতিতে নামব, প্র্যাকটিসে সে ধরণের পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছি। কোচদের সঙ্গে সেভাবেই কাজ করছি। বোলিং-ফিল্ডিং প্র্যাকটিস করছি। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে চেষ্টা করব শতভাগ দেওয়ার জন্য। সম্ভব হলে তার চেয়েও বেশি।”
দলের যেমন লক্ষ্য আছে, তেমনি ব্যক্তিগত কিছু লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ব মঞ্চে যাচ্ছেন প্রায় সব ক্রিকেটারই। তবে অতীত অভিজ্ঞতার কারণেই এবার নিজের কোনো লক্ষ্য ঠিক করেননি সাব্বির। শুধু চান, দলের চাওয়া পুরোপুরি পূরণ করতে।
“ব্যক্তিগত লক্ষ্য আমি সেভাবে করি না। কারণ অর্জন করতে পারি না। আমি যে ধরণের পরিস্থিতিতে নামব, হয়তো ম্যাচ শেষ করে আসা বা ২০ বলে ৪০ রান করা, বা এরকম ভালো ইনিংস খেললে দলকে সাহায্য করবে। পারলে শেষ করে আসব।”
“চেষ্টা করব ৯০ বা ৯৫ কিংবা ১০০ বা আরও বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করতে। তবে এখন যে অবস্থায় আছে দল, ৫-৬ উইকেটে ম্যাচ জিতছে, এটা চলতে থাকলে আমার প্রয়োজন হবে না মনে হয়।”