কার্ডিফে মর্গ্যানের দল জিতেছে ৭ উইকেটে। ১৭৪ রানের লক্ষ্য চার বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় তারা।
সোফিয়া গার্ডেনে শনিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ৩১ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারায় সফরকারীরা। ৭ রান করে ফিরে যান ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক।
শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে শতরানের জুটিতে দলকে টানেন হারিস ও বাবর। অভিষিক্ত পেসার জফরা আর্চার ভাঙেন বিপজ্জনক হয়ে উঠা ১০৩ রানের জুটি। বিদায় করেন ৩৬ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৫০ রান করা হারিসকে।
এক বল পর রান আউট হয়ে ফিরে যান বাবর। ছন্দে থাকা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪২ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচ চারে করেন ৬৫ রান। শেষের দিকে ইমাদ ওয়াসিম ও ফাহিম আশরাফের ছোট ছোট অবদানে ১৭৩ পর্যন্ত যায় পাকিস্তান।
২৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার আর্চার।
রান তাড়ায় শুরুতেই অভিষিক্ত ওপেনার বেন ডাকেটকে হারায় ইংল্যান্ড। ভিন্সের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটিতে দলকে টানেন রুট। আঁটসাঁট বোলিং করা ওয়াসিম ফিরিয়ে দেন ২৭ বলে ৩৬ রান করা ভিন্সকে।
এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন রুট, রানের গতিতে দম দেন মর্গ্যান। দ্রুত জমে যায় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের জুটি। ৪২ বলে পাঁচ চারে ৪৭ রান করা রুটকে ফিরিয়ে ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন হাসান আলি।
জো ডেনলিকে নিয়ে বাকিটা সারেন মর্গ্যান। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করা বাঁহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ২৯ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় করেন ৫৭ রান। অধিনায়কোচিত এই ইনিংস তাকে এনে দেয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭৩/৬ (ফখর ৭, বাবর ৬৫, ইমাম ৭, হারিস ৫০, আসিফ ৩, ওয়াসিম ১৮*, আশরাফ ১৭, হাসান ০; উইলি ০/২৫, কারান ১/২৮, আর্চার ২/২৯, জর্ডান ১/৪১, রশিদ ০/৩২, ডেনলি ০.১৫)
ইংল্যান্ড: ১৯.২ ওভারে ১৭৫/৩ (ভিন্স ৩৬, ডাকেট ৯, রুট ৪৭, মর্গ্যান ৫৭*, ডেনলি ২০*; ওয়াসিম ১/২৪, আশরাফ ০/৪৩, আফ্রিদি ১/৩৫, হাসনাইন ০/২৯, হাসান ১/৪২)
ফল: ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ওয়েন মর্গ্যান